আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ শিবচরে হাইটেক পার্কের নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান

শিবচরে হাইটেক পার্কের নির্ধারিত স্থানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১, ২০২১ , ১২:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


শিবচর (মাদারীপুর) প্রতিনিধি : শিবচরের হাইটেক পার্কের নির্ধারিত স্থানের স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে প্রশাসন। রবিবার (৩১ জানুয়ারি) প্রায় চার শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় আরও প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি বসতকারীরা নিজেরাই সরিয়ে নিয়েছে।
সরেজমিনে জানা যায়, পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেস হাইওয়ের পাশে শিবচরের কুতুবপুরের কেশবপুরে শেখ হাসিনা ইনষ্টিটিউট অব ফ্রন্টিয়ার টেকনোলজি অ্যান্ড হাইটেক পার্ক নির্মাণে ৭০ দশমিক ৩৪ একর জায়গা নির্ধারণ করে আইসিটি মন্ত্রণালয়। এরপর থেকেই গত বেশ কিছুদিন ধরে নির্ধারিত এই স্থানে সরকারের কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিতে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় দালালচক্র ওই এলাকায় অবৈধ ঘর বাড়ি বাগান খামার স্থাপন শুরু করে। সম্প্রতি আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জমি হুকুম দখলের প্রস্তাব করে। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে ওই এলাকায় অবৈধ ঘর বাড়ি বাগান খামার স্থাপন আরো বেড়ে যায়। দালালচক্র পদ্মা সেতুর বিভিন্ন প্রকল্পে ক্ষতিপূরণ পাওয়া ঘরবাড়ি এ প্রকল্পে আবারো স্থাপন করে অপতৎপরতা শুরু করে।
এ পরিস্থিতিতে মাদারীপুর-১ (শিবচর) আসনের সংসদ সদস্য ও জাতীয় সংসদের চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীর নির্দেশে ১৮ জানুয়ারি ওই এলাকায় সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্তদের নিয়ে সভার আয়োজন করে সাতদিনের সময় বেধে দেয় জেলা প্রশাসন। এরপর ২৮ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সকাল থেকে একাধিক ম্যাজিস্ট্রেট ও বিপুল সংখ্যক পুলিশ বাহিনীর সদস্য প্রকল্প এলাকায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে প্রায় চার শতাধিক অবৈধ ঘরবাড়ি উচ্ছেদ করে প্রশাসন। আরো শত শত অবৈধ ঘরবাড়ি স্থাপনা সরিয়ে নিতে একদিনের সুযোগ দেওয়া হয়। শুক্রবার প্রায় দুই শতাধিক ঘরবাড়ি স্থাপনা সরিয়ে নেয় স্থানীয়রা। শনিবার সরেজমিনে পরিদর্শনে আসেন জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন। স্থানীয়রা দালালদের দৌরাত্ম্যের কথা অকপটে স্বীকার করেন। জেলা প্রশাসকের সামনেই অনেককে অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখা যায়। অবৈধ এসকল ঘরবাড়ি নিজেরাই সরিয়ে নেয়ায় জেলা প্রশাসক স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান।
মাদারীপুর জেলা প্রশাসক ড. রহিমা খাতুন বলেন, পরিদর্শনকালে আমরা অনেক অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নিতে দেখছি। চীফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী স্যারের কঠোর ভূমিকার কারণে এ প্রকল্প থেকে দ্রুত অবৈধ স্থাপনা সরানো সম্ভব হয়েছে। আমরা তার কাছে কৃতজ্ঞ। এতে সরকারের ২শ কোটি টাকার বেশি সাশ্রয় হবে। কোন অবস্থাতেই এ প্রকল্পে কোন অবৈধ স্থাপনা বা গাছ ক্ষতিপূরণ পাবে না।