আজকের দিন তারিখ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// শতকোটি টাকা মেরে বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন

শতকোটি টাকা মেরে বিদেশে পালাতে চেয়েছিলেন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুলাই ৭, ২০২০ , ৪:৪৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে প্রতিবেদক :   ২ হাজার গ্রাহকের শত কোটি টাকা লোপাট করে সীমান্ত দিয়ে দেশ থেকে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ ও পরিচালক নিপা সুলতানা নুপুর।

সোমবার লক্ষ্মীপুর-নোয়াখালী জেলার সীমান্ত এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ।

মঙ্গলবার রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিএমপির গোয়েন্দা কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান, ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) আবদুল বাতেন।

আবদুল বাতেন বলেন, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের গ্রাহকের শতকোটি টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডের চেয়ারম্যান শহিদুল্লাহ ও পরিচালক নিপা সুলতানা নুপুরকে গ্রেপ্তার হয়েছে।

তিনি বলেন, ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেড ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে নিবন্ধিত ব্রোকারেজ হাউজ। যেটি পরিচালনা করতেন মো. শহিদুল্লাহ ও নিপা সুলতানা নুপুর দম্পতি। এই ব্রোকার হাউজে প্রায় ২২ হাজার বিও একাউন্টধারী শেয়ার কেনা-বেচা করতেন। গ্রেফতারকৃতরা তাদের প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২২ হাজার ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীর অগোচরে ১৮ কোটি টাকা অন্য একাউন্টে সরিয়ে নেয়। ২২ জুন ব্রোকার হাউজটি বন্ধ করে গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে তারা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পল্টন থানায় তাদের বিরুদ্ধে ২টি মামলা হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, তাদের প্রতিষ্ঠান ক্রেস্ট সিকিউরিটি লিমিটেডে ২২ হাজার বিও একাউন্টধারীর প্রায় ১০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ রয়েছে। ওই শতকোটির টাকার মধ্যে তারা ১৮ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে গ্রেফতাকৃতরা ডিবিকে জানিয়েছেন। এছাড়াও ৪৪/৪৫ জন ব্যক্তির কাছ থেকে তারা মুনাফা দেয়ার শর্তে ৩০ কোটি টাকা ঋণ গ্রহণ করেছেন। ওইসব টাকা আত্মসাৎকরে তারা আত্মগোপন করেন।

আত্মসাৎকৃত টাকা বিদেশে পাচার হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ডিবি আবদুল বাতেন বলেন, আমরা এই বিষয়ে তদন্ত করে দেখবো। তদন্তের স্বার্থে আমরা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের সাথে যোগাযোগ করে ব্যবস্থা নিব। তাদের একাউন্টে কত টাকা আছে, কোথায় কোথায় টাকা পাঠানো হয়েছে সেসব বিষয় আমরা খতিয়ে দেখে তারপর তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেব।