আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বেতন : ক্যাশ আউটে শ্রমিকদের চার্জ কমল

মোবাইল ব্যাংকিংয়ে বেতন : ক্যাশ আউটে শ্রমিকদের চার্জ কমল


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৩, ২০২০ , ৮:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য বিশেষ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে সরকার। এ প্যাকেজের সুবিধার আওতায় শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা মোবাইল ব্যাংকিং ক্যাশ আউটে প্রতি হাজারে আট টাকা চার্জ নির্ধারণ করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এর মধ্যে শ্রমিকদের দিতে হবে চার টাকা। বাকি চার টাকা প্ররিশোধ করবে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক। জানা গেছে, প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী মোবাইল ব্যাংকিং সেবায় ক্যাশ আউটে (টাকা উত্তোলন) প্রতি হাজারে ১৮ থেকে ২০ টাকা চার্জ কেটে নেয় মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) এজেন্টরা। স্বল্প আয়ের শ্রমিকদের এ খরচ বহন করা কঠিন। বিষয়টি বিবেচনায় এ নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। বৃহস্পতিবার (২৩ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের পেমেন্ট সিস্টেম ডিপার্টমেন্ট থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করা হয়েছে। বাংলাদেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংক ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস প্রোভাইডারদের উদ্দেশে প্রকাশিত সার্কুলারে বলা হয়, গত ২ এপ্রিল রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য সবাইকে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিস (এমএফএস) অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশনা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। এই স্কিমের আওতায় পরিশোধিত বেতন-ভাতা ক্যাশ আউটের ক্ষেত্রে শ্রমিক-কর্মচারীদের স্বার্থ বিবেচনায় ফি আদায়ে শুধুমাত্র কস্ট রিকভারি বা কোনো ক্ষেত্রে সাবসিডি প্রদানের জন্য অপারেটরদেরকে (নগদসহ) অনুরোধ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে শূন্য দশমিক আট শতাংশ বা হাজারে আট টাকার বেশি চার্জ আদায় করা যাবে না। এর মধ্যেও এমএফএস অপারেটরদের নিজেদের কমিশন থেকে চার টাকা প্রদান করবে ঋণ প্রদানকারী ব্যাংক। বাকি চার টাকা পরিশোধ করবে গ্রাহক বা প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক। এর আগে গত ২ এপ্রিল একটি সার্কুলার জারি করে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ওই সার্কুলারে বলা হয়, করোনাভাইরাসের কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে রফতানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে পাঁচ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই প্যাকেজ থেকে উৎপাদনের ন্যূনতম ৮০ শতাংশ পণ্য রফতানি করছে এমন সচল প্রতিষ্ঠান সুদবিহীন সর্বোচ্চ দুই শতাংশ হারে সার্ভিসচার্জ দিয়ে ঋণ নিতে পারবে। তবে এ ঋণ দিয়ে শুধুমাত্র শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধ করতে হবে। কোনোভাবেই কর্মকর্তাদের বেতন-ভাতা প্রদান করা যাবে না। একই সঙ্গে এ বেতন সরাসরি শ্রমিকের ব্যাংক বা মোবাইল অ্যাকাউন্টে দিতে হবে। নগদ টাকা প্রদান করা যাবে না। এর প্রেক্ষিতে গত ৬ এপ্রিল এ ঋণ সুবিধা নিতে চায় এমন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা পরিশোধের জন্য ২০ এপ্রিলের মধ্যে মোবাইল অ্যাকাউন্ট খোলার নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। তবে এই হিসাব খোলার জন্য কোনো ধরনের চার্জ বা ফি না কাটা নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সরকার ঘোষিত আর্থিক প্রণোদনা এবং বেতন-ভাতাদি মোবাইলে পৌঁছাতে এ নির্দেশনা দেয় এ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা। এতে করে শ্রমিকরা ঘরে বসেই নিজ নিজ মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্টেই বেতন-ভাতা পাবেন।