দিনের শেষে ডেস্ক :  শহরের হোটেলগুলো চেক করলেই দেখতে পারবেন বিভিন্ন জেলার সরকার দলীয় নেতারা এখানে অবস্থান করছে। সার্কিট হাউজ, ডাক বাংলাকে নির্বাচনের কাজে ব্যাবহার করা হচ্ছে। আইনানুসারে সরকারি কোন গাড়ি, কোন ডাকবাংলো ব্যবহার করার নিয়ম নেই। এটা আচরনবিধি লঙ্ঘন। এই আচরনবিধি লঙ্ঘন করেই আমাদের সরকারি দলের মেহমানরা নির্বাচনকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। শুক্রবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী তৈমুর আলম খন্দকার বলেছেন সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে যদি ব্যালটের মাধ্যমে আশার প্রতিফলন ঘটে এতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভাবমুর্তি উজ্জ্বল হবে। নির্বাচন কমিশনকে আমরা অত্যন্ত আস্থার সাথে অনেকগুলো অভিযোগ করেছিলাম। সে অভিযোগের কোন ব্যাবস্থা নেয়া হয়নি বরং সে সকল ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটেছে।

তৈমুর বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক তার কিছু সঙ্গী নিয়ে জেলা প্রশাসক ও পলিশ সুপারের সাথে আলাপ করেছেন। তিনি অবশ্য বলেছেন তিনি নির্বাচনকে প্রভাবিত করতে যাননি। কিন্তু তার বক্তব্য ও দেখা করতে যাওয়ার সাথে কোন সমন্বয় নেই। প্রথমত তিনি নির্বাচনের আগে কোনভাবেই প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করতে পারেন না। তিনি নারায়ণগঞ্জের নাগরিকও না। এটা আইনগতভাবে আমি অন্যায় মনে করি। তিনি জনমনে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছেন। এটা একজন উচ্চ পর্যায়ের সম্মানিত নেতার কাছ থেকে আমরা আশা করি না।

মেয়র প্রার্থী তৈমুর বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ডে জনগণ সন্দিহান হয়ে পড়েছে। বাংলাদেশের যিনি সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী সেই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলতে চাই নারায়ণগঞ্জের মানুষ প্রত্যাশা করে আপনি এ দেশের সর্বোচ্চ ক্ষমতার মালিক হয়ে নারায়ণগঞ্জের নির্বাচনকে নির্বিঘ্ন, স্বচ্ছ এবং সুন্দরভাবে করার জন্য ব্যবস্থা নিবেন।