আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য মূল বাজার থেকে এসএমই বোর্ডে চার কোম্পানির আইপিও

মূল বাজার থেকে এসএমই বোর্ডে চার কোম্পানির আইপিও


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৪, ২০২১ , ১১:১২ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : পুঁজিবাজারে গণপ্রস্তাবের (আইপিও) মাধ্যমে তালিকাভুক্তির আবেদন করেছিল চার কোম্পানি। কোম্পানিগুলোর প্রতিবেদনে কিছু অসংগতি থাকায় কোম্পানিগুলোকে মূল মার্কেট থেকে এসএমই বোর্ডে পাঠিয়ে দেয়া হচ্ছে। কোম্পানিগুলোও মূল বাজারের তালিকাভুক্তির অনুমোদন পেতে ব্যর্থ হয়ে শেষ পর্যন্ত এসএমই বোর্ডে আবেদন জানিয়েছে। পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (এসইসি) পরামর্শে কোম্পানিগুলো এসএমই বোর্ডে তালিকাভুক্তির আবেদন জানিয়েছে বলে জানা গেছে।
বর্তমানে এসএমই বোর্ডে আবেদন করা কোম্পানি চারটি হলো- ওরিজা অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, সুব্রা সিস্টেমস লিমিটেড, মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড ও মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেড।
কোম্পানিগুলোর মধ্যে মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেড দুই বছরের বেশি সময় আগে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের মূল বাজারে তালিকাভুক্তির আবেদন জানিয়েছিল।
এসব কোম্পানিতে কিছু অসংগতি থাকায় মূল বাজারে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয়নি কমিশন। এখন তালিকাভুক্তির বেশ কিছু ধারা থেকে অব্যাহতি দিয়ে স্টক এক্সচেঞ্জের এসএমই বোর্ডে আইপিওর আবেদন জানানোর পরামর্শ দিয়েছে এসইসি। কোম্পানিগুলো সেই পরামর্শ মেনে নতুন করে সম্প্রতি এসএমই বোর্ডে আবেদন জানিয়েছে।
এর আগে পুঁজিবাজারে এসএমই খাতের প্রথম কোম্পানি হিসেবে নিয়ালকো এলয়সকে এসএমই বোর্ডের প্রথম কোম্পানি হিসেবে তালিকাভুক্তির অনুমোদন দেয় এসইসি। এসইসির নিয়ম অনুযায়ী, শুধু যোগ্য বিনিয়োগকারী বা প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা এসএমই বোর্ডে আবেদন করা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করতে পারবেন। পাশাপাশি পুঁজিবাজারে যেসব দেশি বা বিদেশি ব্যক্তির বাজারমূল্যে অন্তত এক কোটি টাকার বিনিয়োগ আছে, তারা নিয়ালকো এলয়সের মতো এসএমই বোর্ডের আইপিওতে বিনিয়োগ করতে পারবেন।
এসএমই বোর্ডের কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) প্রসপেক্টাস পর্যালোচনা করে দেখা গেছে, মাস্টার ফিড অ্যাগ্রোটেক লিমিটেড এসএমই বোর্ডের মাধ্যমে ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে এক কোটি শেয়ার ছাড়বে। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে মাস্টার ফিডের রেভিনিউ হয় ১০৫ কোটি টাকা। এ সময় মোট আয় হয় ১৩ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। আর কর পূর্ববর্তী মুনাফা হয় ৮ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
কর পরিশোধের পর মাস্টার ফিডের নিট মুনাফা হয় ৭ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫৭ কোটি ১৫ লাখ টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) রয়েছে ১ টাকা ৩৪ পয়সা। বিভিন্ন ধরনের দরজা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজ কিউআইওর মাধ্যমে এসএমই বোর্ড থেকে ১১ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১১ কোটি শেয়ার ছেড়ে কোম্পানিটি এই অর্থ সংগ্রহ করবে।
২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে মোস্তফা মেটাল ইন্ডাস্ট্রিজের পণ্য বিক্রি থেকে আয় ছিল ২৭ কোটি টাকা। এ সময় উৎপাদন ব্যয় শেষে মোট আয় হয় ১০ কোটি ৭৯ লাখ টাকা। কর-পূর্ববর্তী মুনাফা হয় ৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। কর পরিশোধের পর ২০২০ সালে মোস্তফা মেটালের নিট মুনাফা হয় ২ কোটি ৯০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৩৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। ইপিএস দাঁড়িয়েছে ৭৭ পয়সায়।
স্বল্প মূলধনী তালিকার এসএমই বোর্ডে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে সুব্রা সিস্টেমস লিমিটেড ১২ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি ২০ লাখ শেয়ার ছাড়বে। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে মাস্টার ফিডের রেভিনিউ হয় ১৭ কোটি টাকা।
এ সময় মোট আয় হয় ১১ কোটি ৫৪ লাখ টাকা। আর কর-পূর্ববর্তী মুনাফা হয় ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কর পরিশোধের পর সুব্রা সিস্টেমের নিট মুনাফা হয় ৮ কোটি ৪০ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫০ কোটি টাকা। শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) রয়েছে ১ টাকা ৬৮ পয়সা।
এসএমই বোর্ডে কোয়ালিফাইড ইনভেস্টর অফারের (কিউআইও) মাধ্যমে ওরিজা অ্যাগ্রো ১০ কোটি টাকা সংগ্রহ করবে। এ জন্য কোম্পানিটি ১০ টাকা অভিহিত মূল্যে ১ কোটি শেয়ার ছাড়বে। কোম্পানিটির আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরে মাস্টার ফিডের রেভিনিউ হয় ১০৩ কোটি টাকা।
এ সময় মোট আয় হয় ১৮ কোটি ১৪ লাখ টাকা। আর কর-পূর্ববর্তী মুনাফা হয় ১০ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। কর পরিশোধের পর ওরিজা অ্যাগ্রোর নিট মুনাফা হয় ৮ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। কোম্পানিটির পরিশোধিত মূলধন হচ্ছে ৫৯ কোটি ৮ লাখ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) রয়েছে ১ টাকা ৫০ পয়সা।