আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাদেশ ভুয়া কাগজপত্রে চাকরি নেওয়া শিক্ষক ফেরত দিবেন বেতনের টাকা

ভুয়া কাগজপত্রে চাকরি নেওয়া শিক্ষক ফেরত দিবেন বেতনের টাকা


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৯, ২০২২ , ১০:৫১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাদেশ


হবিগঞ্জ প্রতিনিধি: হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের দুই শিক্ষক ভুয়া সনদ দিয়ে চাকরি নিয়েছেন বলে তদন্তে প্রমাণিত হয়েছে। এজন্য সরকারের কাছ থেকে নেওয়া তাদের সমুদয় বেতন-ভাতা ফেরত দেয়ার জন্য সুপারিশ করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন সংস্থা পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তর (ডিআইএ)। রোববার (২৯ মে) বিষয়টি জানিয়েছেন ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ। ওই দুই শিক্ষক এখন কর্মস্থলে আসেন না বলেও নিশ্চিত করেছেন তিনি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির সহকারী শিক্ষক স্নিগ্ধা রানী দাস সরকারি বেতনভুক্ত (এমপিও বা মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার) হন ২০১২ সালে। এরপর থেকে তিনি সরকারের কাছ থেকে মাসে মাসে বেতন পেয়ে আসছেন। অথচ তিনি শিক্ষক হওয়ার জন্য বেসরকারি শিক্ষক নিবন্ধন ও প্রত্যয়ন কর্তৃপক্ষের (এনটিআরসিএ) যে শিক্ষক নিবন্ধন সনদ দিয়েছেন, সেটি ভুয়া। পরে ভুয়া সনদের বিষয়টি ধরা পড়ে ডিআইএ’র নিরীক্ষায়। ওই সনদ সঠিক কি না, তা এনটিআরসিএর মাধ্যমে যাচাই করে ডিআইএ জানতে পারে স্নিগ্ধা রানী দাসের সনদে যে নম্বর লেখা, সেটির বিপরীতে প্রকৃত সনদধারী হলেন দেলোয়ার হোসাইন চৌধুরী। স্নিগ্ধা রানীর নিয়োগ বিধিসম্মত হয়নি। ডিআইএর সুপারিশ অনুযায়ী, স্নিগ্ধা রানীকে এখন সরকারের কাছ থেকে নেওয়া সমুদয় বেতন-ভাতা ফেরত দিতে হবে। ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিদর্শন চলা পর্যন্ত তিনি বেতন-ভাতা নিয়েছিলেন ১০ লাখ টাকার কিছু বেশি। ডিআইএ ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজটি ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে পরিদর্শন করলেও যাচাই বাছাই করে প্রতিবেদন জমা দেয় গত জানুয়ারিতে। প্রতিবেদন অনুযায়ী এনটিআরসিতে জমা দেয়া ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের সহকারী শিক্ষক (কম্পিউটার) মনির আহমেদ চৌধুরীর কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সনদও ভুয়া। তাকেও ফেরত দিতে হবে সরকারের কাছ থেকে নেওয়া সমুদয় বেতন-ভাতা। এ বিষয়ে ছাতিয়াইন বিশ্বনাথ হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হারুনুর রশীদ বাংলানিউজকে বলেন, দুই শিক্ষক এখন বেতন তুলতে পারছেন না। প্রতিষ্ঠানেও আসছেন না। বেতন বাবদ নেওয়া টাকা কিভাবে ফেরত আনা যায়, সে বিষয়ে সুনির্দিষ্ট মতামত চেয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেওয়া হয়েছে। মতামত পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।