আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস বার্সার মাঠে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়

বার্সার মাঠে রিয়ালের রোমাঞ্চকর জয়


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২৫, ২০২০ , ১১:১৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকো জিতল রিয়াল মাদ্রিদ। বার্সার মাঠে এই ম্যাচে রিয়াল জয় নিয়ে ফিরলো ৩-১ গোলে। মৌসুমের প্রথম বিগ ম্যাচে বার্সার এই হারে অনেক প্রশ্ন এখন নতুন কোচ কোম্যানের সামনে। যে কৌশলে এই ম্যাচে দলকে তিনি খেলালেন এবং পিছিয়ে পড়ার পরও রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতেই থাকলেন- সেটা বিস্ময়ের তৈরি করেছে। কোন সন্দেহ নেই বার্সায় কোচ কোম্যানের ঘুমহীন রাত্রির সময় শুরু হয়ে গেল! ম্যাচটা শুরুই হলো গোলের ধামাকা দিয়ে। রিয়াল এগিয়ে গেল ম্যাচের ৫ মিনিটেই। হঠাৎ আক্রমণে উঠে ভালভার্দো যে কায়দায় গোল করে রিয়ালকে এগিয়ে দিলেন তাতে মনে হতেই পারে এই লোক ডিফেন্সে কেন খেলে? এর তো স্ট্রাইকার হওয়া উচিত। বার্সার ডিফেন্স চিরে উপরে উঠে এসে ডিবক্সের ভেতর ফাঁকা জায়গায় বলটা পেয়ে গেলেন ভালভার্দো। কিন্তু সেখান থেকেই শট নিলেন না। গোলমুখ আরও বড় করতে আলতো টোকা দিয়ে আরেকটু সামনে বাড়লেন। সেই উপস্থিত বুদ্ধিই তাকে গোলটা এনে দিলো। যে শট নিলেন তা ঠেকানোর কোন উপায় ছিল বার্সা গোলকিপারের জন্য। তবে পিছিয়ে পড়ার দুঃখ বেশি সইতে হয়নি বার্সাকে। তিন মিনিটের মধ্যেই ফাতি গোলশোধ করেন। বামপ্রান্ত থেকে জোডি আলবা বল নিয়ে দে ছুট। ডি বক্সের ভেতরে গিয়ে ক্রস করেন। সেই ক্রশ ধরে ফাতি সামনে থাকা রিয়াল গোলকিপার কোর্তোয়াকে সহজেই হার মানালেন। প্রথমার্ধে দু’দল গোল করার সঙ্গে গোল মিসেও সমতা রাখল। তবে এই দুটো গোল রক্ষার পুরো কৃতিত্ব দু’দলের গোলকিপারের। আর গোল মিসের দুঃখে কপাল চাপড়ালেন মেসি ও বেনজেমা। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে বার্সা গোলের জন্য ঝাঁপায়। কিন্তু রিয়ালের গোলমুখে এসে তারা ফিনিসারকে যে খুঁজে পায়নি। বার্সা কোচ তার নতুন ফরমেসনে অনুযায়ী মেসিকে একটু নিচে রেখে খেলান। উপরের দিকে ফাতি ও কুটিনহো আক্রমণের তেজ রাখতে পারলেও গোলের জন্য ফিনিসারের দায়িত্ব পালন করতে পারেননি। দ্বিতীয়ার্ধে পেনাল্টি পায় রিয়াল মাদ্রিদ। উড়ে আসা বল ধরতে সার্জিও রামোস লাফ দেন। কিন্তু তার জার্সি টেনে ধরেন বার্সার ল্যাঙ্গলেট। বল নিশ্চিত মিস হচ্ছে দেখে রামোস সঙ্গে সঙ্গে বাড়তি অভিনয়ের ভঙ্গিতে মাটিতে পড়ে যান। পেনাল্টির দাবি উঠে। ভিডিও রেফারি জানিয়ে দিলেন-এটা পেনাল্টি। স্পটকিক থেকে রামোস নিজেই শট নেন। গোল হলো বটে, তবে যে কায়দায় রামোস শট নিলেন সেটা যেন পুরোপুরি স্লো মোশনের ভঙ্গিতে পেনাল্টি শট নেওয়া। ২-১ গোলে এগিয়ে থাকার পরও রিয়াল আক্রমণের তেজ বজায় রাখে। গুটিয়ে যায়নি। আর রিয়ালের এই তেজি মনোভাবেই বার্সা পুরোদুস্তুর ভঙ্গিতে হামলায় যাওয়ার সাহস পায়নি। জিদানের ঠিক এই কৌশলের কাছেই হেরে যান কোম্যান।
ম্যাচ শেষ হওয়ার মিনিট দশেক আগে আক্রমণের তিনজন খেলোয়াড় বদল এনেও গোলের দেয়া পায়নি বার্সা। এসময় টনি ক্রুস ও রামোসের নিশ্চিত দুটো গোলের শট রক্ষা করেন বার্সা গোলকিপার নেটো। তবে ৯০ মিনিটে লুকা মদ্রিচকে আর ঠেকাতে পারলেন না তিনি। গোলপোষ্ট ছেড়ে সামনে বাড়েন নেটো। সামনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বলে পা লাগালেও ফাঁকতালে সেই বলটা পেয়ে যান সামনে দাড়ানো মদ্রিচ। গোলপোষ্ট ফাঁকা দেখে বার্সোলোনার দুই তিনজন খেলোয়াড় পাহারায় দাড়িয়ে যান। কিন্তু মদ্রিচ ধীরস্থির ভঙ্গিতে ঠিকই বল জালে জড়ান (৩-১)।
চলতি মৌসুমে ৬ ম্যাচে ৪ জয়ে রিয়াল মাদ্রিদ ১৩ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্টের শীর্ষে। আর পাঁচ ম্যাচে ২ জয়, ২ হার এবং ১ ড্র’য়ে বার্সার পয়েন্ট ৭। পয়েন্ট টেবিলে তাদের অবস্থান ১১!