আজকের দিন তারিখ ২৪শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বুধবার, ১১ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় বাঁশখালীতে জামায়াতের সঙ্গে মিলেছে আ’লীগের একাংশ

বাঁশখালীতে জামায়াতের সঙ্গে মিলেছে আ’লীগের একাংশ


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৬, ২০১৬ , ১:৫৬ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


MEETচট্টগ্রাম: বাঁশখালীতে আওয়ামী লীগের ‘দুষ্কৃতিকারীরা’ ইউপি নির্বাচনে নিজ দলের প্রার্থীদের হারানোর জন্য জামায়াতের সঙ্গে মিলে গেছে বলে অভিযোগ তুলেছেন পৌর মেয়র সেলিমুল হক চৌধুরী।

এই আওয়ামী লীগ নেতার দাবি, দল থেকে মনোনয়ন না পেয়ে কিছু বিদ্রোহী প্রার্থী ও তাদের নেতারা নির্বাচনে ভরাডুবির মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর হাতকে নরম করতে স্থানীয় সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে নেমেছেন।

সোমবার চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের ইঞ্জিনিয়ার আবদুল খালেক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।

সাংসদ মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলা প্রত্যাহার এবং উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার ‘মনগড়া’ বক্ত্যব্যের তদন্তপূর্বক শাস্তির দাবিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর।

লিখিত বক্তব্য আবদুল গফুর বলেন, আধুনিক সুন্দর বাঁশখালী বিনির্মাণের স্বপ্নদ্রষ্টা মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে উপজেলার সচেতন জনগণ, ছাত্র ও যুব সমাজ ঐক্যবদ্ধ। কিন্তু বর্তমানে কিছু কিছু অচল নেতা সচল হবার জন্য নন ইস্যুকে ইস্যু বানিয়ে বাঁশখালীর রাজনীতিতে আবির্ভূত হবার হবার স্বপ্ন দেখছেন।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, উপজেলার বিভিন্ন কলেজ, প্রতিষ্ঠিত মাধ্যমিক স্কুল ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অনেককেই নির্বাচনের দায়িত্ব দেননি উপজেলা নির্বাচনী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলাম। অথচ ৮৫০ জনের বেশি কর্মকর্তা পেকুয়া উপজেলা থেকে আনা হয়েছে।

এ ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি আমাদের জানান, ‘লোকবলের অভাবেই আনা হচ্ছে। ’ কিন্তু উপজেলায় যোগ্য লোক ছিল।

লিখিত বক্তব্যে নির্বাচনী কর্মকর্তা জাহিদুল ইসলামের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে নানা কথা তুলে ধরা হয়।

পরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে আওয়ালী লীগ নেতারা দাবি করেন, নির্বাচনী কর্মকর্তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেননি মোস্তাফিজুর রহমান। তারা নির্বাচনী কর্মকর্তার শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন ছিল না বলেও দাবি করেন। উল্টো নির্বাচনী কর্মকর্তা সরঞ্জাম আনার কথা বলে জেলা নির্বাচনী কর্মকর্তার অফিসে গিয়ে বিভিন্ন ভঙ্গিতে বিভ্রান্তিকর তথ্য পরিবেশন করেছেন বলে জানান তারা।

আওয়ামী লীগ নেতারা দ্রুত মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলা প্রত্যাহার করে নির্বাচনী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আসা অভিযোগগুলোর তদন্ত করে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাবেক সদস্য সাইফুদ্দীন আহমেদ রবি, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক খোরশেদ আলম, দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিউদ্দিন খোকা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।