আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় করা হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম

প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় করা হচ্ছে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২০ , ৮:০৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  প্রধানমন্ত্রীর দিক নির্দেশনায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের উন্নয়ন কার্যক্রম পরিচালন করা হচ্ছে। গণপূর্তের টেন্ডার নিয়ান্ত্রণকারী সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষভাবে টেন্ডার কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। জানা গেছে সাম্প্রতি সময়ে জি কে শামীমের সতেরটি চলতি কাজ বাতিল করে দেয়ায় শুরু হয়েছে নানা প্রচারণা । তারা মিথ্যা বানোয়াট প্রচারণা চালিয়ে মূলত গণপূর্ত অধিদপ্তরের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চাইছে। প্রধান প্রকৌশলী গণপূর্ত অধিদপ্তরের ইমেজ পূণরুদ্ধার ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে অঙ্গীকারবদ্ধ। সিন্ডিকেট ও দুর্নীতিকে প্রশ্রয় না দিয়ে নীতি ও আদর্শ অনুসরণ করে আজ মাথা উচুঁ করে দাঁড়াবার স্বপ্ন দেখেছে গণপূর্ত অধিদপ্তর।

বাংলাদেশ নির্মাণ শিল্পের পথিকৃৎ গণপূর্ত অধিদপ্তর। সরকারের এলোকেশন অব রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী প্রায় সকল মন্ত্রণালয়ের দাপ্তরিক ও আবাসিক অবকাঠামোসমূহ নির্মাণ, রক্ষণাবেক্ষণ এবং মেরামত কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তর অত্যন্ত দক্ষতা ও নিষ্ঠার সাথে বাস্তবায়ন করছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ এবং এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে গণপূর্ত অধিদপ্তরের উজ্জ্বীবিত সকল পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ নিষ্ঠা ও দক্ষতার সাথে সরকারের উন্নয়নমূলক কার্যক্রম বাস্তবায়ন করে চলছে।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা ‘মুজিব বর্ষ-১০০’ পালনের মূল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজনের সার্বিক কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের ওপর ন্যস্ত থাকায় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সকল কাজ সুষ্ঠু, সুন্দর ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তর সম্পন্ন করেছে। মুজিব শতবর্ষ আয়োজনের জন্য গণপূর্ত অধিদপ্তর কর্তৃক প্রস্তুতকৃত প্যারেড গ্রাউন্ডটি পরিদর্শনকালে মহামান্য রাষ্ট্রপতি জনাব আবদুল হামিদ, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ রেহানা, প্রধানমন্ত্রী কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বঙ্গবন্ধু দৌহিত্র রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন। করোনা মহামারির কারণে সীমিত আকারে অনুষ্ঠান রাখা হলেও জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় লেজার শো আয়োজন করা হয়, যা দেখে মাননীয় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন অত্যন্ত খুশি হয়েছিলেন।

জানা গেছে বর্তমানে সারা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও কোভিড-১৯ মোকাবেলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিচক্ষণ নেতৃত্বে স্বাস্থ্য খাতে চলমান উন্নয়নমূলক কাজ অত্র অধিদপ্তরের নিবেদিত প্রাণ প্রকৌশলীসহ মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্ত ও কর্মচারীগণ স্বল্পতম সময়ে বাস্তবায়ন করেছেন। ইতোমধ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও মাঠ প্রশাসনের চাহিদার প্রেক্ষিতে দেশব্যাপী হাসপাতালগুলোতে পিসিআর ল্যাব, কোয়ারেন্টিন সেন্টার, আইসোলেশন সেন্টারসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণে গণপূর্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সারা দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা সুনিশ্চিত করতে অবকাঠামোগত কাজ সম্পন্নের স্বীকৃতিস্বরূপ বিভাগ ও জেলা পর্যায় হতে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে ধন্যবাদ দেয়া হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিদের্শ অনুযায়ী সরকারি কর্মকর্তা – কর্মচারীদের আবাসন সুবিধা ৮% থেকে বৃদ্ধি করে ৪০% পর্যন্ত উন্নীতকরণের লক্ষ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তর ইতোমধ্যে ৯টি প্রকল্পের মাধ্যমে ৩০১২টি ফ্লাট নির্মাণ করে প্রত্যাশী সংস্থার কাছে হস্তান্তর করেছে।

এছাড়া প্রক্রিয়াধীন আরও ৯টি প্রকল্পের অধীনে ৮৮৩৫টি ফ্লাটের কাজ অনুমোদনের জন্য বিবেচনাধীন রয়েছে। আশা করা যায় আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে সরকারী কর্মচার্রী ও কর্মকর্তাদের আবাসনের হার ৮% থেকে বৃদ্ধি পেয়ে প্রায় ২২% এ উন্নীত হবে এবং অবশিষ্ট ফ্ল্যাটের চাহিদা পরবর্তী ২০২১ সালের মধ্যে সমাপ্ত করা সম্ভব হবে বলে জানা গেছে। এছাড়া সরাদেশে সরকারের উন্নয়ণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ গণপূর্ত অধিদপ্তরের মাধ্যমে বাস্তবায়িত হচ্ছে। তার মধ্যে উল্লেখ্য: দেশের প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ৫৬০ টি মডেল মসজিদ ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ, ৬৪টি জেলায় চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট কোর্ট নির্মাণ, জেলা রেজিস্ট্রি ও সাব-রেজিস্ট্রি অফিস ভবন নির্মাণ, দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের ৫০ টি হাইওয়ে আউটপোষ্ট নির্মাণ, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ বিভাগের জন্য ৯টি আবাসিক টাওয়ার ভবন নির্মাণ, ৪৬ ফায়ার স্টেশন নির্মাণ, ৫০০ ইউনিয়নে ভূমি অফিস ও ১০০ উপজেলায় ভূমি অফিস নির্মাণ, শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল সম্প্রসারণ, টাঙ্গাইল, গোপালগঞ্জে শেখ লুৎফর রহমান ডেন্টাল কলেজ স্থাপন, গাজীপুরে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল স্থাপন , তথ্য কমিশন ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন ভবন নির্মাণ, ঢাকার সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে স্বাধীনতা স্তম্ব নির্মাণ (৩য় পর্যায়), জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কমপ্লেক্স, জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা কার্যালয়ে ০২টি বেইজমেন্টসহ ২০ তলা বিশিষ্ট প্রধান কার্যালয় নির্মাণ, বাংলাদেশের ৩৭টি জেলায় সার্কিট হাউজের উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ প্রকল্প, বিপিএটিসি এর প্রশিক্ষণ সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্প, বাংলাদেশ সরকারী কর্মকমিশন সচিবালয় এর উর্দ্ধমুখী সম্প্রসারণ, ঢাকাস্থ রমনা পার্কের অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং রমনা লেকসহ সার্বিক সৌন্দর্ষ বৃদ্ধিকরণ, অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এর ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ, বাংলাদেশ সচিবালয়ে ২০-তলা বিশিষ্ট নতুন অফিস ভবন নির্মাণ প্রকল্প অন্যতম।

গণপূর্ত অধিদপ্তর ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে ও কাজকর্মে স্বচ্ছতা, জবাদিহিতা নিশ্চিতকরণসহ গতিশীলতা আনয়নে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেছে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম। কাজের গুণগতমান রক্ষা ও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কাজ সম্পাদনের লক্ষ্যে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম গণপূর্ত অধিদপ্তরের ৫টি শক্তিশালী কমিটি গঠন করেছে। ফলে বর্তমানে গণপূর্ত অধিদপ্তরে একদিকে কাজের গুতগতমান ১০০% নিশ্চিত হচ্ছে অন্যদিকে প্রকল্প প্রণয়ন থেকে শুরু করে প্রকল্প বাস্তবায়ন ও প্রকল্প সমাপ্তিতে দীর্ঘসূত্রিতার অবসান ঘটেছে। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে “জিরো টলারেন্স” প্রত্যয় ঘোষণার সাথে একাত্ম হয়ে গণপূর্ত অধিদপ্তর দরপত্র প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলাম সকল দরপত্র প্রক্রিয়া উন্মুক্ত করাসহ দরপত্র সমূহ ১০০% ইজিপি এর মাধ্যমে বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরে সরকারের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিতর্কিত ঠিকাদার জি, কে শামীম এর প্রতিষ্ঠানের সাথে গণপূর্ত অধিদপ্তর সর্বমোট ১৭টি কাজের চুক্তিবাতিলসহ সবগুলো দরপত্র পুনঃদরপত্র আহবান কার্যক্রম সম্পন্ন করেছেন। এই সাহসী পদক্ষেপ বিভিন্ন মহলে প্রশংসিত হলেও কিছু স্বার্থান্বেষী কুচক্রি মহল ও জি.কে শামীম সিন্ডিকেটের সদস্যরা প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলমকে জড়িয়ে নানাবিধ অপতৎপরতা চালানোর প্রচেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। গণপূর্ত অধিদপ্তরের জনসংযোগ প্রচার ও লিয়াঁজো উইং কমিটির পক্ষ হতে এ সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদলিপি প্রেরণ করা হয়েছে। প্রধান প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম, গণপূর্ত অধিদপ্তর হতে সকল ধরনের সিন্ডিকেট ও টেন্ডারবাজি সমূলে উৎপাটনে দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। তাই কোন স্বার্থন্বেষী মহলের অপপ্রচারণায় বিভ্রন্ত না হয়ে তিনি তার নীতিতে অটল ও দুর্নীতির প্রশ্রয় না দেয়ায় তার এই দৃঢ় প্রতিজ্ঞার কারণেই তিনি প্রধান প্রকৌশলী হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার মাত্র ৮ মাসের মধ্যে গণপূর্ত অধিদপ্তরের সকল সিন্ডিকেট মুক্ত ও ইমেজ সংকট কাটিয়ে ঐতিহ্যের ধারায় ফিরিয়ে এসেছে।