আজকের দিন তারিখ ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব প্রথম ফোনেই মানবাধিকার নিয়ে সৌদিকে প্রশ্ন

প্রথম ফোনেই মানবাধিকার নিয়ে সৌদিকে প্রশ্ন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২১ , ১২:১১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :   দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবারের মতো সৌদি বাদশাহ সালমানের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। হোয়াইট হাউজ জানিয়েছে, ফোনালাপে তিনি বৈশ্বিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুত্বের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন। বিবিসি। যুক্তরাষ্ট্রের পুরনো এই মিত্রের সঙ্গে সম্পর্ক পুনরুদ্ধারের নতুন পদক্ষেপ হিসেবেই এই ফোনালাপ করেছেন তিনি। তুরস্কে সৌদি কনস্যুলেটের ভেতর সাংবাদিক জামাল খাশোগিকে হত্যার ঘটনায় মার্কিন গোয়েন্দা তদন্ত রিপোর্ট দেখেই এই ফোনালাপ করেন বাইডেন। ওই রিপোর্টে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান অভিযুক্ত হতে পারেন বলে জানা গেছে।

হোয়াইট হাউজের পাঠানো বিবৃতিতে খাশোগির নামের উল্লেখ দেখা যায়নি। সেখানে মার্কিন প্রেসিডেন্ট সৌদি-আমেরিকান অ্যাক্টিভিস্ট মিস. লওজেইন আল-হাথলওলের মুক্তির কথা উল্লেখ করেছেন। তিনি তিন বছর আটক থাকার পরে এই মাসেই ছাড়া পেয়েছেন। তবে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা ও গণমাধ্যমে কথা না বলার শর্তে। ফোনে বাইডেন বৈশ্বিক মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুত্বের বিষয়টি আবারও নিশ্চিত করেছেন। পাশাপাশি দুই নেতা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং সৌদি আরবের মধ্যকার দীর্ঘকালীন অংশীদারিত্ব নিয়ে এবং ইরানপন্থী গোষ্ঠীগুলিও সৌদি আরবকে দেওয়া হুমকি নিয়ে কথা বলেছেন।

বাইডেন বাদশাকে বলেন, তিনি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে যতটা সম্ভব শক্ত ও স্বচ্ছ করার চেষ্টা করবেন। দুই নেতা সম্পর্কের ঐতিহাসিক প্রকৃতি নিশ্চিত করেছেন এবং পারস্পারিক উদ্বেগ ও আগ্রহের বিষয়গুলোতে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সৌদি আরবের অনুসন্ধানী সাংবাদিক জামাল খাশোগি সৌদি রাজপরিবারের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে একজন কড়া সমালোচক ছিলেন। ২০১৮ সালের ২৮ শে অক্টোবর ইস্তাম্বুলে সৌদি আরবের কনসুলেটে তাকে হত্যা করা হয় বলে অভিযোগ করা হয়। তুরস্কের অভিযোগ, এই অভিযানে রিয়াদ থেকে প্রেরিত ১৫ জন এজেন্ট জড়িত। তবে সৌদি সরকার তা অস্বীকার করে শুরু থেকে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ৪ কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেছেন, প্রকাশিত হতে যাওয়া প্রতিবেদনে সৌদি ক্রাউন প্রিন্সই খাশুগজিকে হত্যার অনুমোদন এবং ‘সম্ভবত নির্দেশও দিয়েছিলেন’ বলে জানানো হয়েছে।