আজকের দিন তারিখ ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস, স্পোর্টস লীড নিরাপত্তাশঙ্কা নিয়েই শুরু হচ্ছে ইউরো

নিরাপত্তাশঙ্কা নিয়েই শুরু হচ্ছে ইউরো


পোস্ট করেছেন: admin | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ৯, ২০১৬ , ১০:২৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস,স্পোর্টস লীড


euro1কাগজ অনলাইন ডেস্ক: আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। তারপরই ফ্রান্সে শুরু হচ্ছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের সেরা আসর ইউরো চ্যাম্পিয়নশিপ। ১৯৯৮ বিশ্বকাপের পর আবারও ফুটবলের বড় কোনো টুর্নামেন্ট আয়োজন করতে যাচ্ছে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সাল থেকে শুরু হওয়া ইউরোতে এত দিন পর্যন্ত খেলত ১৬টি দেশ। এই প্রথম অংশ নিচ্ছে ২৪টি দেশ।

এক দিকে যখন চলছে কোপা আমেরিকার শতবর্ষী আসর, তখনই ফুটবলপ্রেমীদের মাতাতে শুরু হচ্ছে ইউরো। তবে সব কিছু ছাপিয়ে নিরাপত্তাশঙ্কাই সামনে আসছে বেশি। সাম্প্রতিককালের প্যারিসসহ ইউরোপের বেশ কয়েকটি শহরে সন্ত্রাসী হামলাগুলো কারণেই এমন শঙ্কা।

গত বছরের নভেম্বরে ফ্রান্সের রাজধানী প্যারিসে প্রায় একই সময়ে কয়েকটি স্থানে বোমা হামলা ও বন্দুকধারীদের গুলিতে ১৮০ জন নিহত হন, আহত হন শতাধিক। ওই হামলার পর পুরো ফ্রান্সে জরুরি অবস্থাও জারি করা হয়।

প্যারিসের সেই ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই এ বছরের মার্চে বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের বিমানবন্দর ও একটি মেট্রো স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় ৩১ জন নিহত ও ২৭০ জন আহত হন। এই হামলাগুলো ইউরোপজুড়েই নিরাপত্তাশঙ্কা বাড়িয়ে দেয়, যার ছাপ পড়ছে ইউরোতেও।

ইউরোর জন্য ফ্রান্স সরকার তাই ব্যাপক প্রস্তুতিই গ্রহণ করেছে। ইউরোর জন্য পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে ফ্রান্স সরকার। টুর্নামেন্ট চলাকালে ফ্রান্সজুড়ে খেলোয়াড়, স্টাফ, ভেন্যু ও দর্শকদের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন ৯০ হাজারেরও বেশি সশস্ত্র পুলিশ সদস্য। এ ছাড়া টুর্নামেন্টের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়েছে বাড়তি আরো ১৩ হাজার বেসরকারি নিরাপত্তারক্ষী।

শুক্রবার রাতে প্যারিসের সবচেয়ে বড় স্টেডিয়াম স্টাডে ডি ফ্রান্সে স্বাগতিক ফ্রান্স ও রোমানিয়ার মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ইউরোর মাঠের লড়াই। তার আগেই বৃহস্পতিবার রাতে কনসার্টের মধ্যে দিয়ে পর্দা ইউরোর।

বিখ্যাত আইফেল টাওয়ারের নিচে এই কনসার্টে পারফর্ম করবেন ফ্রেঞ্চ সুপারস্টার ডিজে ডেভিড গুয়েটা। এই কনসার্টে প্রায় ৯০ হাজার দর্শক উপস্থিত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এদিনই তাই বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হবে ফ্রান্স সরকারকে।