আজকের দিন তারিখ ১৮ই এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// দ্বিতীয় দিনের মতো মিয়ানমারের রাস্তায় হাজারও মানুষের বিক্ষোভ

দ্বিতীয় দিনের মতো মিয়ানমারের রাস্তায় হাজারও মানুষের বিক্ষোভ


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২১ , ১২:০২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক : মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে দ্বিতীয় দিনের মতো মিয়ানমারে বিক্ষোভ চলছে। রোববার সকাল থেকে ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করছেন কয়েক হাজার মানুষ। সকালে মাওলামাইন ও মান্ডালেও ছোট ছোট বিক্ষোভের খবর পাওয়া গেছে। খবর বিবিসির
মায়ো উইন (৩৭) নামে এক বিক্ষোভকারী বলেছেন, আমরা গণতন্ত্র ফিরে না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব। ইয়াঙ্গুন বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছাকাছি দাঙ্গা পুলিশ সাঁজোয়া যান নিয়ে অবস্থান নিয়েছে। শনিবার দেশটির প্রধান শহর ইয়াঙ্গুনে কয়েক হাজার মানুষ সামরিক শাসনের প্রতিবাদে রাস্তায় বিক্ষোভ করেন। ‘মিলিটারি শাসন ব্যর্থ, গণতন্ত্র জিতেছে’ এমন স্লোগান দেন বিক্ষোভকারীরা। গত সোমবার সামরিক অভ্যুত্থানের পর শনিবারই প্রথম মিয়ানমারের সড়কে এত বড় আকারে বিক্ষোভ দেখা যায়। শনিবার কারখানার শ্রমিক, ছাত্রসহ কয়েক হাজারমানুষ বিক্ষোভে অংশ নিয়ে অং সান সু চির মুক্তি দাবি করেন। তারা ইয়াঙ্গুনের রাস্তায় পদযাত্রা করার সময় বাসগুলো হর্ন বাজিয়ে তাদের প্রতি সমর্থন জানায়। পথচারীরা তিন আঙ্গুল উচিয়ে ‘হাঙ্গার গেমস’ স্যালুট প্রদর্শন করে। হাঙ্গার গেমস সিনেমায় দেখানো এই প্রতীকটি ওই অঞ্চলে প্রতিবাদ প্রকাশের ভাষা হয়ে উঠেছে।
শনিবার বিক্ষোভ দমনে দেশটির ইন্টারনেট সেবাই বন্ধ করে দিয়েছে সামরিক শাসক।
মানবাধিকার গোষ্ঠী অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট বন্ধকে ‘জঘন্য ও বেপরোয়া’ বলে আখ্যায়িত করেছে। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, এটি মিয়ানমারের জনগণকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এর আগে দেশটিতে ফেসবুক, টুইটার ও ইন্সটাগ্রাম বন্ধ করে দেয় সামরিক বাহিনী। গত বছরের ৮ নভেম্বরের জাতীয় নির্বাচনে সু চির দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) নিরঙ্কুশ জয় পায়। কিন্তু সেনাবাহিনী সমর্থিত দল ইউনিয়ন সলিডারিটি অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট পার্টি (ইউএসডিপি) ভোটে প্রতারণার অভিযোগ তুলে ফলাফল মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং নতুন করে নির্বাচন আয়োজনের দাবি তোলে। সোমবার ভোরে এনএলডি নেত্রী অং সান সু চি, দেশটির প্রেসিডেন্ট ও দলটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতাদের আটক করা হয়। এরপর সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফকে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিয়োগ দেয় দেশটির সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।