আজকের দিন তারিখ ১৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
Uncategorized ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের

ঝিনাইদহে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে প্রাণ গেল বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৯, ২০২০ , ৭:০৬ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: Uncategorized


ঝিনাইদহ প্রতিনিধি : জমি নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লাঠির আঘাতে ঝিনাইদহের শৈলকুপা উপজেলায় এক বিশ্ববিদ্যালয়ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার রাত ১২টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে তার মৃত্যু হয়। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শেখপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম আরাফাত রহমান। তিনি কুষ্টিয়া বেসরকারি রবিন্দ্র মৈত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের অনার্স ইংরেজি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। তার বাবা ওই গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য জাহাঙ্গীর ওরফে বিদ্যুৎ। নিহতের চাচাতো ভাই এমরান হোসেন জানান, মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়ির পাশের এক খণ্ড জমি ঘেরাও নিয়ে একই গ্রামের গোলাম জোয়ারদারের সঙ্গে আরাফাতের বাবা জাহাঙ্গীরের কথা কাটাকাটি হয়। এর একপর্যায়ে গোলাম জোয়ারদার তার ছেলে উজ্জ্বলকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। উজ্জ্বল লঠিসোটাসহ ৩-৪ জনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে আসেন। ঝগড়ার একপর্যায়ে আরাফাত রহমানের মাথায় ভারী লাঠি দিয়ে আঘাত করেন তারা। এতে ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন আরাফাত। প্রথমে তাকে উদ্ধার করে শেখপাড়া বাজারে গ্রাম্য ডাক্তার লুৎফর রহমানের কাছে নেয়া হয়। এর পর তাকে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে বিকাল ৩টার দিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থেকে রাত ১২টার দিকে মারা যান আরাফাত। ঝিনাইদহ জেলা পরিষদের সদস্য ও স্থানীয় শেখপাড়া বাজার কমিটির সেক্রেটারি রেজাউল খাঁ জানান, নিহতের বাবা চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর গোলাম জোয়ারদারের ভাইয়ের কাছ থেকে জমি কিনে বাড়ি করে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে বসবাস করে আসছিল। মঙ্গলবার বাড়ির পাশের জমি ঘেরার সময় গোলাম জোয়ারদার বাধা দেন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ঝগড়া বাধে। পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন আরাফাত রহমান। গোলাম জোয়ারদারের বখাটে ছেলে উজ্জ্বল ঘটনাস্থলে এসেই তার মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করে।আঘাতের ফলে আরাফাতের মাথার খুলি ভেঙে একটি চোখ বেরিয়ে আসে। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখান থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় তাকে। রাত ১২টার দিকে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহত আরাফাত নিরীহ প্রকৃতির ছিলেন বলেও জানান রেজাউল খাঁ। শৈলকুপা থানার ওসি বজলুর রহমান জানান, রাতেই আরাফাতের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কায় বুধবার সকাল ৬টা থেকে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা করার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।