আজকের দিন তারিখ ২৩শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, মঙ্গলবার, ১০ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় কুড়িগ্রামে বুথে উপস্থিত না হওয়ায় দু’দিনে ৩৬ ডোজ ভ্যাকসিন নষ্ট

কুড়িগ্রামে বুথে উপস্থিত না হওয়ায় দু’দিনে ৩৬ ডোজ ভ্যাকসিন নষ্ট


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২১ , ১:২২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে ভ্যাকসিন কর্মসূচির প্রথম দুই দিনে কুড়িগ্রামে ১৩টি ভায়ালের ৩৬ ডোজ ভ্যাকসিন অপচয় হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দিন ৭টি ভায়ালে ১৮ ডোজ এবং দ্বিতীয় দিন ৬টি ভায়ালে ১৮ ডোজ টিকার অপচয় হয়। সিভিল সার্জন ডা. হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চত করে বলেন, ‘প্রতিটি ভায়ালে ১০ জন করে টিকা নেওয়ার কথা থাকলেও নিবন্ধিত (রেজিস্ট্রেশন করা) ব্যক্তিরা উপস্থিত না হওয়ায় অসম্পূর্ণ ওই ভায়ালগুলোর টিকার ডোজ নষ্ট হয়ে যায়। গত দুই দিনে জেলার ৯ উপজেলার ৯ বুথে মোট ৭০৪ জন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধী এই ভ্যাকসিন নিয়েছেন। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ভ্যাকসিন নিয়েছেন সদর উপজেলার কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল বুথ থেকে। সেখান থেকে মোট ২০২ জন ভ্যাকসিন নিয়েছেন।’ সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানায়, জেলা সদরের জেনারেল হাসপাতালসহ জেলার ৯ উপজেলায় নিবন্ধনধারীদের টিকা দেওয়া হচ্ছে। প্রথমদিন কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে টিকা নেন ৬৫ জন। গত দুই দিনে এই বুথে টিকা নিয়েছেন মোট ২০২ জন। এরপরই দ্বিতীয় সর্বাধিক সংখ্যাক মানুষ টিকা নিয়েছে রাজারহাট উপজেলায় ১০৮ জন, রাজীবপুরে ৩৬ জন, রৌমারী উপজেলায় ৫৫ জন, উলিপুরে ৭০ জন, নাগেশ্বরীতে ৭০ জন, ভূরুঙ্গামারীতে ৫৪ জন, ফুলবাড়ীতে ৬৩ জন এবং চিলমারীতে ৪৬ জন।
ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ৫৭৭ জন এবং নারীর সংখ্যা ১২৭ জন। তবে গত দুই দিনে ভ্যাকসিন গ্রহণের জন্য জেলায় ৪ হাজারেরও বেশি নারী-পুরুষ রেজিস্ট্রেশন করেছেন। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘দশ শতাংশ টিকা অপচয় হতে পারে। তবে ভ্যাকসিন গ্রহীতাদের সংখ্যা বাড়লে এই অপচয়ের মাত্রা কমে যাবে। রেজিস্ট্রেশন করা ব্যক্তিদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এসএমএস ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ফোন করেও বুথে আসার অনুরোধও করা হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘গতকাল সোমবার দিনের শেষ ভায়ালটি খোলার পর ৭ জন টিকা নিয়েছেন। এরপর আর লোক না আসায় অবশিষ্ট তিন ডোজ নষ্ট হয়েছে। একবার ভায়াল উন্মুক্ত করা হলে ডোজ পূর্ণ করে আরেকটি খুলতে হয়। ডোজ পূর্ণ না হলে অবশিষ্ট ডোজ সংরক্ষণ করা যায় না। ফলে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়।’ সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, জনগণের টাকায় সরকারিভাবে ক্রয় করা উচ্চমূল্যের এসব ভ্যাকসিনের অপচয় রোধে বুথে উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে।