আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য করোনার কারণে চীনে ইঁদুরের মাংস বাণিজ্যে ধ্বস

করোনার কারণে চীনে ইঁদুরের মাংস বাণিজ্যে ধ্বস


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২১, ২০২০ , ৯:৪৮ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক : করোনা ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই বৈশ্বিক চাপে রয়েছে চীন। বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যখন দাবি করছে উহানের ল্যাব থেকেই ছড়িয়েছে করোনা ভাইরাস, তখন চীন দাবি করছে সামুদ্রিক খাবারের বাজার থেকে ছড়িয়েছে প্রাণঘাতি এই ভাইরাস। এদিকে করোনা ছড়িয়ে পড়ার পর বন্যপ্রাণী বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে চীন। কারণ অনেক বিশেষজ্ঞই বলেছেন, বাদুড় থেকে ছড়িয়েছে এই করোনা ভাইরাস। গত জানুয়ারিতে আবার চীনের রোগ তত্ত্ব বিশেষজ্ঞ ডা ঝোং নানশাম দাবি করেছিলেন, শুধু বাদুড় নয় ইঁদুর থেকে ছড়াতেও পারে এই করোনা ভাইরাস। বন্যপ্রাণী বিক্রি সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ায় ইঁদুরের মাংস বিক্রিও বন্ধ হয়ে গেছে চীনে। জানা গেছে, চীনে প্রায় ২৫ মিলিয়ন ইঁদুরের খামার রয়েছে। চীনের দক্ষিণাঞ্চলে থাকা ওই সব খামার থেকেই পুরো চীনে ইঁদুরের সরবরাহ করা হতো। চীনে কিছু স্থানে আবার ইঁদুর খাওয়ার উৎসবের প্রচলনও রয়েছে। চীনে প্রায় এক হাজার বছর ধরে ইঁদুর খাওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে প্রাণী কল্যাণ সংস্থা হিউম্যান সোসাইটি ইন্টারন্যাশনালের বিশেষজ্ঞ ড. লি। তিনি যুক্তরাজ্যের সংবাদমাধ্যম ডেইলি স্টারকে বলেন, যারা অদ্ভত খাবার বিক্রি করে সেই সব রেস্টূরেন্টেই ইঁদুরের মাংস দেয়া হতো। মাত্র ১০ শতাংশ ইঁদুর বাজারে প্রকাশ্যে বিক্রি হতো। ইঁদুরের মাংস স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক দাবি করে ওই বিশেষজ্ঞ আরো বলেন, বিক্রেতারা গুজব ছড়িয়ে এই ইঁদুরের মাংস বিক্রি করতেন। জানা গেছে, ইঁদুরের মাংস বাণিজ্য বন্ধ হওয়ায় চীনের গুয়াংডং ডংগুয়ানে প্রায় তিন হাজার ইঁদুর হত্যা করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চীনের ইঁদুরের ব্যবসার সঙ্গে জড়িতদের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অন্য কোন কাজের ব্যবস্থা করে দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন ড. লি। তবে করোনা ভাইরাস প্রকোপ কমার পর চীনে প্রাণী বাণিজ্য আবারো চালু হবে কিনা সেটি এখনো কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারছেন না। চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে গত ডিসেম্বরে করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। ওয়ার্ল্ড ও মিটারের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, চীনে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৭৫৮ জন। মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩২ জন।