আজকের দিন তারিখ ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব কম্বোডিয়া নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র

কম্বোডিয়া নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না যুক্তরাষ্ট্র


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ২৬, ২০২৩ , ৪:৫৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  আগামী জুলাইয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ কম্বোডিয়ায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী হান সেনের বিরুদ্ধে বিরোধী দলকে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রতিক্রিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র সাধারণ নির্বাচনের সময় পর্যবেক্ষক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। টাইম নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সময় ধরে ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের তালিকায় বর্তমানে প্রথম সারিতে রয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী হান সেন। তিনি ১৯৮৫ সাল থেকে কম্বোডিয়ায় ক্ষমতায় আছেন। কয়েক মাস আগে কম্বোডিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা কেম সোখাকে ২৭ বছরের কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। ধারণা করা হচ্ছে, তিনি যাতে নির্বাচনে অংশ নিতে না পারেন সেজন্য এই রায় দেয়া হয়েছে। এছাড়াও, এর আগে ২০১৭ সালে তার দল কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি) নিষিদ্ধ করা হয়। এরপর চলতি বছরের ১৫ মে কম্বোডিয়ার নির্বাচন কর্তৃপক্ষ যথাযথ কাগজপত্র না থাকার অজুহাতে দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে নির্বাচনের অযোগ্য ঘোষণা করে। যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরে কম্বোডিয়ার গণতন্ত্রপন্থী জনগণের পাশে দাঁড়িয়েছে। এখনও দেশটি জানিয়েছে, এই পরিস্থিতিতে কম্বোডিয়ার নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে না তারা। এছাড়া, দেশটির বিরোধী দল, স্বাধীন গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে লক্ষ্য করে আইনি পদক্ষেপ, হুমকি, হয়রানি ও মামলা-মোকদ্দমার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। কম্বোডিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা কেম সোখাকম্বোডিয়ার বিরোধী দলীয় নেতা কেম সোখা মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে (২৬ মে) জানান, কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষ দেশটির বৃহত্তম বিরোধী দল ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে ২০২৩ সালের জুলাইয়ের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে বাধা দিচ্ছে বলে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। বিরোধী দল, স্বাধীন গণমাধ্যম ও সুশীল সমাজকে লক্ষ্য করে কাল্পনিক আইনি পদক্ষেপ, হুমকি, হয়রানি ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ফৌজদারি অভিযোগ কম্বোডিয়ার বহুদলীয় গণতন্ত্র হিসেবে গড়ে ওঠার আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারকে ক্ষুণ্ন করছে। তদনুসারে, জুলাইয়ের নির্বাচনের জন্য কম্বোডিয়ায় সরকারী পর্যবেক্ষক প্রেরণের যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পরিকল্পনা নেই। এ অবস্থা এমন একটি নির্বাচনী প্রক্রিয়ার অংশ যা অনেক স্বাধীন কম্বোডিয়ান এবং আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা অবাধ বা সুষ্ঠু হিসেবে মূল্যায়ন করেন না। মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারমার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা কম্বোডিয়ার কর্তৃপক্ষের প্রতি জোরালোভাবে আহ্বান জানাচ্ছি যেন দেশটির নাগরিকরা দেশের সংবিধান অনুযায়ী একটি সুষ্ঠু, বহুদলীয় গণতন্ত্রে অংশগ্রহণ করতে পারে। আর প্রতিশোধের ভয় ছাড়াই সংগঠন, শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ তাদের মানবাধিকার অবাধে উপভোগ করতে পারে।’ উল্লেখ্য, কম্বোডিয়ায় প্রতি পাঁচ বছর পর পর সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ক্যান্ডেললাইট পার্টিকে আসন্ন নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী হান সেনের নেতৃত্বাধীন ক্ষমতাসীন কম্বোডিয়ান পিপলস পার্টির প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে দেখা হচ্ছে। কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি)কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি) অভিযোগ রয়েছে, প্রধানমন্ত্রী হান সেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে ২০১৭ সালে কম্বোডিয়ান ন্যাশনাল রেসকিউ পার্টি (সিএনআরপি) ভেঙে দেওয়ার জন্য দেশটির সুপ্রিম কোর্টকে ব্যবহার করেছিলেন।