আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সাহিত্য কথা কবি সুলতানা ফিরদৌসীর লেখালেখির ২৩ বছর

কবি সুলতানা ফিরদৌসীর লেখালেখির ২৩ বছর


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ৭, ২০২০ , ১:১০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সাহিত্য কথা


 

দিনের শেষে প্রতিবেদক :   দেখতে দেখতে লেখালেখির ভুবনে ২৩ বছর কাটিয়ে দিলেন লেখক ও কবি সুলতানা ফিরদৌসী। তার সর্বশেষ প্রকাশিত অনুবাদ গ্রন্থ ‘আ গার্ল হ্যাজ নো নেইম’। সাম্প্রতিক সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় কবি তিনি। এ পর্যন্ত লিখেছেন ৬টি বই। কাব্যগ্রন্থ আর অনুবাদগ্রন্থ ছাড়াও এর মাঝে আছে উপন্যাস আর ছোটগল্পের সংকলন। জনপ্রিয় এই লেখিকার জন্ম ১১ই ডিসেম্বর, ১৯৭৪ সালে। বাবার চাকরির সুবাদে ছোটবেলা কাটিয়েছেন জন্মস্থান কুষ্টিয়া আর দেশের বিভিন্ন মফস্বল শহরে। তখনও মফস্বলে গ্রামবাংলার শ্বাশত ছোঁয়া ছিল। প্রাকৃতিক বৈচিত্যের দেশকে ফুটিয়ে তোলার ই”ছা নিয়েই ফেরদৌসির কাব্যচর্চা শুরু। উদার ও সংস্কৃতিমনা পরিবার থেকে সবসময়ই পেয়েছেন অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকে পড়াশোনার পাশাপাশি ডায়েরি লিখতেন তিনি। সেখানে ফুটে উঠে তাঁর মনের কথা, তাঁর আনন্দ বেদনা, অভিজ্ঞতা। লেখালেখির হাতেখড়ি তখন থেকেই। এরপর তিনি যুক্ত হন বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রজেক্টে। মফস্বল শহরের যোগাযোগ ব্যবস্থা আনুকুল্যে না থাকায় লেখালেখি বাধাগ্রস্থ হয়। তাছাড়া বিয়ের পর স্বামী-সংসারের আপত্তিতেও কাব্যচর্চায় কিছুটা ভাটা পড়ে। তাও নারীবাদী এই সাহিত্যিক থেমে থাকেন নি। তিনি লেখালেখি চালিয়ে যান। ইতিমধ্যে প্রকাশ পেয়ে যায় তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ- ‘কীট ও দ্রোণপুষ্প’, তখন ১৯৯৭ সাল। এর দু বছর পর ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর উপন্যাস ‘তৃতীয় পক্ষ’। লেখালেখির জন্য পেয়েছেন নানা পুরস্কার। তার মধ্যে শান্তিনিকেতন ভারত থেকে ‘অগ্নিবীণা’ পুরস্কার, বাঙ্গালি কৃষ্টি ও সংস্কৃতি বাতায়ন থেকে ‘রূপসী বাংলা পদক’ অন্যতম। কলকাতা বাংলা একাডেমীর কবিতা প্রতিযোগিতার সম্মানিত জুরী বোর্ডেরও সদস্য ছিলেন। ২৩ বছর যাবত লেখালেখি করতে গিয়ে তিনি পেরিয়ে এসেছেন বহু বাধাবিপত্তি। তাঁর সংগ্রাম যেন নারীদের অব্যাহত জীবন সংগ্রামের প্রতিনিধিত্বই করে। তাই তো তাঁর কাব্যে উঠে আসে নারী মুক্তির কথা, নারীদের সংকটের কথা, এক নতুন দিনের ভাষ্য। সুলতানা ফেরদৌসি পড়াশোনাও চালিয়ে গেছেন পুরোদমে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজকর্মে মাস্টার্স করে তিনি একেই পেশা হিসেবে বেছে নেন। ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের কমিউনিটি ডেপলপমেন্ট অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন দীর্ঘদিন। রাষ্ট্রীয় সেবা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেন তিনি। আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউনিসেফ আর এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) এর সাথে সকল প্রকার উন্নয়ন মূলক কাজের অভিজ্ঞতা আছে তাঁর। সুলতানা ফেরদৌসি বর্তমান সময়ে সাহিত্য ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান নারী মুক্তির আন্দোলনে সক্রিয় ভাবে অংশগ্রহণ করছেন। ওতপ্রোতভাবে যুক্ত আছেন নারী অধিকার সংগঠন ‘কালির সাথে’। সুলতানা ফেরদৌসির কাছে নারীমুক্তি মানে সকল শ্রেণী নির্বিশেষে নারীর ব্যাপক আকারে আর্থসামাজিক উন্নয়ন এবং সব রকমের কাজে নারীর বাধাহীন অংশগ্রহণ। তিনি মনেপ্রাণে ধারন করেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে।