আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যানের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ১৮, ২০২২ , ২:০১ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক : পর্যটননগরী কক্সবাজারের উন্নয়নে মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘কক্সবাজার এত চমৎকার একটা জায়গা—এটা পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা একান্তভাবে অপরিহার্য। কক্সবাজারবাসীর কাছে আমার একটা অনুরোধ থাকবে, যত্রতত্র কোনও স্থাপনা করবেন না। কক্সবাজারে আমরা অনেকগুলো প্রকল্প নিয়েছি। একটা মাস্টার প্ল্যান করার নির্দেশ দিয়েছি পুরো কক্সবাজার ঘিরে। আমরা চাই, এর উন্নয়নটা যাতে পরিকল্পিতভাবে হয়।’ বুধবার (১৮ মে) কক্সবাজারের বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঠে কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নবনির্মিত বহুতল ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হন। কক্সবাজার বিমানবন্দরটিকে আন্তর্জাতিক করার কাজ চলমান রয়েছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কক্সবাজার বিমান বন্দরই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের জায়গা।’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এত দূরদর্শী নেতৃত্ব ছিল, আপনারা দেখেন, ১৯৭৪ সালে তিনি সমুদ্রসীমা আইন করেন। এমন কী জাতিসংঘও কিন্তু তখন করেনি। জাতিসংঘ করেছে ৮২ সালে। কিন্তু ১৯৭৪ সালে এই বিশাল সমুদ্রে আমাদের যে অধিকার রয়েছে, সে অধিকার নিশ্চিত করবার জন্য জাতির পিতা এই আইনটি করে দিয়ে যান। আমাদের দুর্ভাগ্য ৭৫ সালে নির্মমভাবে তাকে হত্যার পর যারা ক্ষমতা দখল করেছিল, তারা এই সমুদ্রসীমায় আমাদের অধিকার নিয়ে কখনোই কোনও উদ্যোগ গ্রহণ করেনি।’

শেখ হাসিনা বলেন, ‘৯৬ সালে সরকার গঠন করার পর আমি প্রথম এই উদ্যোগটা গ্রহণ করি। কিন্তু এটা নিতে গেলে অনেক তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে কাজ করতে হয়। আমরা অনেক দূর কাজ করে যাই। কিন্তু এর পরে ২০০১ থেকে ২০০৮ পর্যন্ত আমরা দেখেছি, তখনও কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি। ২০০৮ এর নির্বাচনে সরকারে এসে আমরা আবার উদ্যোগ নিই। সমুদ্রসীমায় আমাদের যে অধিকার, সে অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছি। এখন এই সমুদ্র সম্পদকে ব্যবহার করে আমাদের অর্থনীতিতে যাতে অবদান রাখা যায়, সে ব্যবস্থাটা আমরা করতে চাই। তাই আমরা সুনীল অর্থনীতি গ্রহণ করেছি। এর ভিত্তিতে উন্নয়ন আরও তরান্বিত করতে চাই।’

তিনি বলেন, ‘কারণ রিফুয়েলিং কিন্তু একেক সময় একেকটা দেশ অগ্রাধিকার পায়। এক সময় হংকং ছিল। এরপরে আমরা দেখেছি থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর। এখন দুবাই। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কক্সবাজারই হবে আন্তর্জাতিক আকাশ পথে রিফুয়েলিংয়ের একটা জায়গা। তার ফলে এখানে অনেক কাজ হবে। আমরা ক্রিকেট স্টেডিয়াম করেছি। সেখানে ফুটবল স্টেডিয়াম হবে। সেখানে অন্যান্য খেলাধুলার পুরো ব্যবস্থাটা নেওয়া হবে। যেকোনও আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট এখানে যাতে হতে পারে সে ব্যবস্থাটা আমরা নিচ্ছি।’

কক্সবাজার প্রান্তে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার।