আজকের দিন তারিখ ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্পোর্টস ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানসিটি

ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ম্যানসিটি


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৫, ২০২১ , ১২:৩৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্পোর্টস


দিনের শেষে ডেস্ক : প্রথমবার চ্যাম্পিয়নস লিগ ফাইনাল খেলার টিকিট কাটল ম্যানচেস্টার সিটি। পিএসজিকে বিদায় করে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠল ইংলিশ ক্লাবটি। মঙ্গলবার রাতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে নিজেদের মাঠ ইতিহাদে ২-০ গোলে জিতেছে ম্যানসিটি। জয়ের নায়ক একজনই -আলজেরিয় ফরোয়ার্ড রিয়াদ মাহরেজ। দুটি গোলই এসেছে তার পা থেকে।
ম্যাচে সিটির গোলপোস্ট বরাবর ১২টি শট নিয়েছে পিএসজি। একটিও ছিল না লক্ষ্যে। দলের সেরা খেলোয়াড় ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড নেইমার বেশ কয়েকবার সিটির রক্ষণভাগে ভীতি ছড়ালেও গোল দিতে পারেননি একবারও। অন্যদিকে সমান ১২টি শট মেরেছে ম্যানসিটিও। এর মধ্যে পাঁচটি ছিল লক্ষ্যে। যা দুটি পিএসজির জাল কাঁপিয়েছে।
সপ্তম মিনিটে পিএসজির পেনাল্টির বাঁশিও বাজান রেফারি। কিন্তু ভিএআরের সাহায্য নিয়ে রেফারি দেখেন, বল আলেকসান্দার জিনচেঙ্কোর ঘাড়ে লেগেছিল। ফলে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন তিনি। এর চার মিনিট পর পাল্টা আক্রমণে ডি-বক্সের ভেতর থেকে লক্ষ্যভেদ করেন মাহরেজ। জিনচেঙ্কোকে। মাঝমাঠের কিছুটা সামনে থেকে বল নিয়ে দৌড়ে ইউক্রেনের এই ডিফেন্ডার খুঁজে নেন কেভিন ডি ব্রুইনকে। তার শট অতিথিদের অধিনায়ক মার্কুইনোস আটকে দিলেও পেয়ে যান মাহরেজ। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন তিনি। সিটির গোলরক্ষক এদারসন চমৎকার গোল-কিকে বল খুঁজে নেন ইউক্রেনের ডিফেন্ডার খুঁজিনচেঙ্কো। দুর্দান্তভাবে এগিয়ে তিনি বল পাস দেন কেভিন ডি ব্রুইনকে। তার শট পিএসজি অধিনায়ক মার্কুইনোস আটকে দিলেও পেয়ে যান মাহরেজ। নিখুঁত ফিনিশিংয়ে পিএসজির গোলরক্ষক কেইলর নাভাসকে পরাস্ত করেন মাহরেজ। সমতায় ফিরতে মরিয়া হয়ে ওঠে পিএসজি। নেইমারের নৈপুণ্যে ৩৬তম মিনিটে বল পান আন্দার হেরেরা। কিন্তু তার নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ১-০ স্কোরলাইনে বিরতিতে যায় দুই দল। দ্বিতীয়ার্ধে নেমে ৫৪তম মিনিটে ফিল ফোডেনের জোরালো শট রুখে দিয়ে পিএসজির নাভাস। কিন্তু এর ৯ মিনিট পর স্কোরার মাহরেজকে থামাতে পারেনি পিএসজির রক্ষণ।
৬৩তম মিনিটে ডি ব্রুইনের সঙ্গে বল আদান-প্রদান করে ডি-বক্সে ঢুকে পড়েন ফোডেন। এরপর বাঁ প্রান্ত থেকে ক্রস করেন তরুণ এই ইংলিশ মিডফিল্ডার। বাকি কাজটা সহজভাবেই সারেন আলজেরিয় ফরোয়ার্ড মাহরেজ। ২-০ তে এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার শিষ্যরা। বাকি সময় দুটি তো দূরের কথা একটিও শোধ করতে পারেনি নেইমারের দল। রেফারির শেষ বাঁশিতে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিতে উল্লাসে মাতে ম্যানসিটিভক্তরা। আগামী ২৯ মে ইস্তানবুলে হবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল। সেখানে গার্দিওলার ম্যান সিটির প্রতিপক্ষ হবে রিয়াল মাদ্রিদ কিংবা চেলসি।