দিনের শেষে প্রতিবেদক : বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ইডেন কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় জামিন পেয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা মোনায়েম হোসেন জেমস। আসামি জেমস সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২-এর ভারপ্রাপ্ত বিচারক রোকসানা বেগম হ্যাপির আদালতে আত্মসমর্পণ করেন জেমস। এরপর আইনজীবীর মাধ্যমে জামিন চেয়ে আবেদন করেন তিনি। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে জামিনের বিরোধিতা করা হয়। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামির জামিন মঞ্জুর করেন। এবিষয়ে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী বলেন, আমি ন্যায় বিচার পাচ্ছি না। আমাদের বাদী পক্ষের সব আইনজীবীদের হুমকি ধামকি দেয়া হচ্ছে। পলিটিক্যালভাবে মামলাটি দেখা হচ্ছে। তাহলে আমি ন্যায় বিচার পাব কিভাবে। আমি দুইমাসের অন্তঃসত্ত্বা। আমি এর ন্যায় বিচার চাই। এরআগে গত ৫ ফেব্রুয়ারি মোনায়েম হোসেন জেমসের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনে ঢাকার লালবাগ থানায় মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী। এ মামলার অন্য আসামিরা হলেন- জেমসের বাবা আবদুল ওহাব ও ভাই জাকির হোসেন। মামলার এজাহারে বলা হয়, ঢাকায় ইডেন কলেজে পড়াশোনা করা অবস্থায় বাদীর (কলেজছাত্রী) সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়েন জেমস। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভনে বাদীকে লালবাগের রসুলবাগের একটি ভাড়া বাসায় একাধিকবার নিয়ে ধর্ষণ করেন মোনায়েম। এ অবস্থায় বাদী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। বিষয়টি জেমসকে জানালে তিনি বাচ্চা নষ্ট করার জন্য চাপ দেন। বাধ্য হয়ে নির্যাতিত নারী বিষয়টি জেমসের বাবা-ভাইকে জানান।
কিন্তু তারাও বাচ্চাটি নষ্ট করার কথা বলে বিয়ের আশ্বাস দেন। কিন্তু বিয়ে না দিয়ে কৌশলে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মোনায়েম হোসেন জেমসের সঙ্গে অন্য একটি মেয়ের বিয়ে দেন। এরপর লালবাগ থানায় ধর্ষণর অভিযোগ এনে এ মামলা করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।