আজকের দিন তারিখ ২৫শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, বৃহস্পতিবার, ১২ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য আইপি জাল করে আনা প্রায় ২ কোটি টাকার পেঁয়াজ আটক

আইপি জাল করে আনা প্রায় ২ কোটি টাকার পেঁয়াজ আটক


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৩, ২০২১ , ১:৪৯ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


রাজশাহী প্রতিনিধি : আমদানি অনুমতি (আইপি) জাল করে পেঁয়াজ আমদানির কারণে সোনা মসজিদ স্থলবন্দরে প্রায় দুই কোটি টাকা মূল্যের ২০ ট্রাক ভারতীয় পেঁয়াজ আটক করা হয়েছে। আটককৃত পেঁয়াজের পরিমাণ ৬০০ টন। তবে প্রতি ট্রাকে ২০ টনের জায়গায় আরও পরিমাণ পেঁয়াজ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যার শুল্ক করের পরিমাণ ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা। বন্দর শুল্ক বিভাগ রোববার অভিযান চালিয়ে ভারতীয় ট্রাকভর্তি এসব পেঁয়াজ আটক করেন। আটক পেঁয়াজগুলি বর্তমানে বন্দর ইজারাদার পানামার ইয়ার্ডে রয়েছে। আটক পেঁয়াজের মূল্য ১ কোটি ৯০ লাখ টাকা বলে জানা গেছে।
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর শুল্কবিভাগের পরির্দশক পিযুষ কুমার বিশ্বাস জানান, বিএইচ ট্রেডিং নামের একটি ক্লিয়ারিং অ্যান্ড ফরোয়ার্ডিং এজেন্ট কাম আমদানিকারক রোববার ২০ ট্রাক পেঁয়াজ আনেন সোনা মসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে। ঘোষণা অনুযায়ী এসব পণ্য প্রবেশের জন্য আমদানি অনুমতির (আইপি) মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তিনি জানান, সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও আমদানিকারক আইপি (ইমপোর্ট পারমিশন) জাল করে বন্দরে পেঁয়াজগুলি নিয়ে আসেন। আইপিতে গরমিল থাকায় শুল্কবিভাগ ২০ ট্রাক পেঁয়াজ ছাড়করণে আপত্তি করেন। তারা পেঁয়াজগুলির আমদানির কাগজপত্র খতিয়ে দেখে আইপি জালের বিষয়টি নিশ্চিত হন। বদর সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানায়, দেশি পেঁয়াজের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত ১৬ জানুয়ারি ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ১০ শতাংশ ছাড় শুল্কে পেঁয়াজ আমদানির অনুমতিপত্র দেওয়া বন্ধ করেন। তবে এই ঘোষণার আগেই যেসব আমদানিকারক পেঁয়াজ আমদানির আইপি পেয়েছিলেন তাদের পেঁয়াজ বন্দর দিয়ে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি।
আমদানিকারক দুরুল হাসান বাবুলের আমদানি অনুমতিপত্রের মেয়াদ ছিল ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে তিনি তার অনুমতিপত্রের ফটোকপিতে ৩০ এপ্রিলের স্থলে দুই মাস লিখে নিয়ে কাস্টমসে নথিপত্র জমা দেন পণ্য ছাড়করণের জন্য। শুল্ক বিভাগ তার মুল অনুমতিপত্র যাচাই করে দেখতে পান আইপি জালিয়াতি হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে শুল্ক বিভাগ তার পেঁয়াজগুলি আটক করেন। অভিযোগে জানা গেছে, আমদানিকারক তার আইপির মেয়াদ দুই মাস বাড়িয়ে দেখিয়ে আরও পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত রাখতে চেয়েছিলেন। এর মাধ্যমে তিনি কম দামে দেশে পেঁয়াজ এনে বিপুল মুনাফা করার পরিকল্পনা করেছিলেন।
অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে আমদানিকারক ও সিঅ্যান্ডএফ বিএইচ ট্রেডার্সের মালিক দুরুল হাসান বাবুল বলেন, তার আইপির মেয়াদ ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ছিল। তবে ৩০ এপ্রিল শুক্রবার ও পরেরদিন ১ মে সরকারি ছুটির দিন থাকায় তিনি পেঁয়াজগুলি ভারত থেকে বন্দরে আনতে পারেননি। এ কারণে তিনি ২ মে পেঁয়াজগুলি এনেছেন। তবে তার আইপিতে ৩০ এপ্রিলের জায়গাতে কেটে দিয়ে দুই মাস করার বিষয়টি সম্পর্কে তিনি কিছু বলতে রাজি হননি।
অন্যদিকে শুল্ক কর্মকর্তারা বলছেন, ছুটির দিনের কারণে পেঁয়াজ প্রবেশের সমস্যা এটি নয়। তেমনটা হলে তারা পণ্য ছেড়ে দিতেন। কিন্তু এখানে আইপির মেয়াদ কেটে সময় বাড়ানোর মতো জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। এটা করা শুল্ক আইনে দণ্ডনীয় অপরাধ।
সোনা মসজিদ স্থলবন্দর কাস্টমসের পরিদর্শক পিযুষ কুমার বিশ্বাস আরও বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আটক পেঁয়াজগুলি পানামাতেই আছে।