আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য অনুমোদন পেলো ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২১’

অনুমোদন পেলো ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২১’


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১, ২০২১ , ১২:১৫ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : বাংলাদেশে ব্যাংক থেকে ‘ফাইন্যান্স কোম্পানি লাইসেন্স’ ছাড়া কোনো ব্যক্তি দেশে কোনো অর্থায়ন, ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না, এমন বিধান রেখে এই আইনটি করতে যাচ্ছে সরকার। ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২১ -এর খসড়ায় নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সোমবার (৩১ মে) সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক খসড়ায় এই অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। আর মন্ত্রিসভার অন্য সদস্যরা ছিলেন সচিবালয়ে।
সচিবালয়ে বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘এটা অনেক বড় আইন। অনেক আলাপ আলোচনা হয়েছে এটা নিয়ে। আমার মনে হয় এক ঘণ্টার মতো দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।’ এই আইনটি করার গুরুত্ব তুলে ধরে সচিব বলেন, ‘১৯৯৩ সালে ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশন অ্যাক্ট ছিল একটা। সেটাকে চেঞ্জ করে ফাইন্যান্স কোম্পানি আইন, ২০২১ হিসেবে খসড়া নিয়ে আসা হয়েছে। লাইসেন্স ছাড়া জনগণের কাছ থেকে আমানত সংগ্রহে বিধি নিষেধ থাকলেও প্রায়ই মাল্টিপারপাস সোসাইটি, প্রতিষ্ঠান বা আরও নানা নামে বিভিন্ন সংগঠন অবিশ্বাস্য হারে মুনাফা দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে অর্থ উত্তোলন করে। পরে সেগুলো উধাও হয়ে গেছে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ে লগ্নিকারকরা।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘আইনটিকে ৭১টি ধারা রয়েছে, কোনো ব্যক্তি বাংলাদেশে ব্যাংক কর্তৃক প্রদত্ত ফাইন্যান্স কোম্পানি লাইসেন্স ছাড়া বাংলাদেশে কোনো অর্থায়ন ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না।’ সচিব বলেন, আইনটি প্রণয়নের মধ্য দিয়ে যে প্রতিষ্ঠানগুলো আগে ইনস্টিটিউট ছিল, সেগুলো কোম্পানি হিসেবে বিবেচিত হবে। ‘কিন্তু তার জন্য তাদের নতুন করে কোনো রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না। তাদের মেমোরান্ডাম অব অ্যাসোসিয়েশনেও কোনো পরিবর্তন আনতে হবে না। যারা ব্যবসা বা অর্থায়ন করবে এবং ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতেও তারা যদি করতে চায় সবক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পারমিশন নিতে হবে।’ কোনো প্রতিষ্ঠান দেউলিয়া হয়ে গেলে, গ্রাহকরা যাতে ক্ষতির মুখে না পড়ে সেজন্য আইনে বিশেষ বিধান রাখা হয়েছে।
সচিব বলেন, ‘একটা সিস্টেম করা হয়েছে, যদি কেউ দেউলিয়া হয়ে যায়, তাহলে সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক গ্রাহক যারা আছে তাদের টাকা পয়সা কীভাবে পেমেন্ট করবে, তার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে একটা ডিপোজিট ব্যবস্থা থাকবে।’
শাস্তির বিধান সম্পর্কে জানতে চাইলে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ‘৫০ থেকে ৫৫ ধারা পর্যন্ত ব্যাপক জরিমানার কথা বলা হয়েছে। আপনাদের খেয়াল আছে কী-না? কদিন আগে যে আমরা ব্যাংকিং আইনটা প্রেজেন্ট করলাম। এগুলো হলো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ পানিশমেন্ট। কিন্তু এগুলো কোনো ব্যক্তিকে তার ক্রিমিনাল অফেন্সের লাইয়াবেলিটি থেকে মুক্তি দেবে না। যদি কেউ পেনাল কোডের ৪৬৭/৪৬৮ বা ৪০৬ বা ৪২০-তে পড়ে এই জরিমানার পরেও ওগুলো যথারীতি চলবে।’ সচিব বলেন, সর্বোচ্চ এক কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানার বিধান থাকছে এই আইনে।