আজকের দিন তারিখ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় সিলেট বিভাগ ছাড়া সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

সিলেট বিভাগ ছাড়া সারাদেশে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ২২, ২০২২ , ২:৪৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে ডেস্ক : ঈদুল আজহা উপলক্ষে আজ বুধবার থেকে এক কোটি পরিবারের মাঝে ভর্তুকি দামে সয়াবিন তেল, চিনি ও মসুর ডাল বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে বন্যার কারণে সিলেট বিভাগ ছাড়া সারা দেশে চলবে এই কার্যক্রম। রাষ্ট্রীয় সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) এর মাধ্যমে ভর্তুকি দামে এইসব পণ্য বিক্রি করা হবে। তবে পণ্যমূল্যের বাড়তি চাপ দেশের দরিদ্র ভোক্তাদের কাঁধে না দিয়ে সরকার ভর্তুকি বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে ঈদুল ফিতরের আগে ভোক্তারা টিসিবি থেকে যে দামে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল ও চিনি পেয়েছেন, ঈদুল আজহার আগেও একই দামে পাবেন। অবশ্য, আগের মতো ট্রাকে নয়, এবার শুধুমাত্র ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ডিলারের দোকান বা নির্ধারিত স্থায়ী স্থাপনা থেকে পণ্য বিক্রি হবে।

টিসিবির আঞ্চলিক কার্যালয়ের অফিস প্রধান মো. হুমায়ুন কবির স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে গতকাল মঙ্গলবার এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় এক কোটি নিম্ন আয়ের পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য দেয়া হবে। বুধবার থেকে শুরু হবে এ কার্যক্রম। চলবে ৫ জুলাই পর্যন্ত। তবে মাদারীপুর, শরীয়তপুর, গোপালগঞ্জ ও মুন্সীগঞ্জসহ সংশ্লিষ্ট জেলাগুলোতে ২৬ জুন থেকে বিক্রি শুরু হবে। আর বন্যার কারণে সিলেট বিভাগের জেলাগুলোতে আপাতত স্থগিত থাকবে বিক্রি কার্যক্রম। পরিস্থিতি বিবেচনায় বিক্রির তারিখ পরবর্তীতে জানানো হবে। এ দফায় একজন ভোক্তা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারবেন।

জানা গেছে, মূল্যস্ফীতির চাপ কমাতে সরকার ভর্তুকি বাড়িয়েছেন। বাজারে বর্তমানে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম ২০৫ টাকা। যেখানে টিসিবি বিক্রি করবে ১১০ টাকা লিটারে। অর্থাৎ এখানে টিসিবি বাজারমূল্যের চেয়ে ৯৫ টাকা কমে তেল বিক্রি করছে। তবে ঈদুল ফিতরের আগে যখন ১১০ টাকা লিটার করে টিসিবি তেল বিক্রি করেছে, ওই সময় টিসিবির ক্রয়মূল্য ছিল ১৬৮ টাকা। অর্থাৎ, দুই মাসের ব্যবধানে প্রতি লিটার তেলে টিসিবির ভর্তুকি বাড়ছে ২৭ টাকা। বর্তমানে বাজারে এক কেজি দেশি মসুর ডাল কিনতে হচ্ছে ১৩০ টাকায়। টিসিবি এই ডাল বিক্রি করবে ৬৫ টাকায়, এখানে সরকার বাজারমূল্যের চেয়ে ৬৫ টাকা কমে পণ্য বিক্রি করছে। এক কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়, টিসিবি বিক্রি করবে ৫৫ টাকায়, এখানে বাজারমূল্যের তুলনায় সরকার ৩০ টাকা কম নিচ্ছে। সে হিসেবে একটি পরিবারের এ তিনটি পণ্য বাজার থেকে কিনতে যে টাকা লাগত তার চেয়ে ৩৫০ টাকা সাশ্রয়ে নিতে পারবে। টিসিবির ১ কোটি পরিবারের মাঝে এসব পণ্য বিক্রির জন্য ২ কোটি লিটার সয়াবিন তেল, ২০ হাজার টন মসুর ডাল ও ১০ হাজার টন চিনি লাগবে।

জানা গেছে, এর আগে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাবে দেশে ভোজ্যতেল ও মসুর ডালের দাম বাড়ায় ভর্তুকি কমাতে এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী দরিদ্র পরিবারের মাঝে পণ্য বিতরণ শুরুর আগে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল টিসিবি। প্রস্তাব অনুযায়ী প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম ১১০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১৩০ টাকা এবং মসুর ডালের দাম ৬৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ টাকা করার সুপারিশ করা হয়েছিল। দাম বাড়ানোর প্রস্তাব বাণিজ্য মন্ত্রণালয় অনুমোদন না করায় আগের দামেই তেল, চিনি ও ডাল বিক্রি করা হবে।