আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সবুজ আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা

সবুজ আপেলের স্বাস্থ্য উপকারিতা


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ১৯, ২০২১ , ২:৩৪ অপরাহ্ণ | বিভাগ: স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা


দিনের শেষে প্রতিবেদক :   আপেল উপকারিতার কথা কমবেশি সবারই জানা।তবে সবুজ আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে কি আপনার? প্রায় সব ধরনেরই পুষ্টি উপাদান রয়েছে এই আপেলে। এটি আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। বিশেষজ্ঞদের মতে, লাল আপেলের তুলনায় সবুজ আপেলে আছে বেশি ভিটামিন, প্রোটিন, খনিজসহ আরও নানা উপকারী উপাদান। চলুন জেনে নেই সবুজ আপেলের উপকারিতা সম্পর্কে-

রোগ নিরাময়ে সহায়তা করে

যেকোনো ধরনের শারীরিক সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে এই ফল। এতে আছে খনিজ, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফাইবারের মতো নানা ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান। এগুলো উচ্চ-রক্তচাপ কমায়, রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমায়, রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করে, হজমের সমস্যা কমায় এবং সেইসঙ্গে ক্ষুধা বাড়াতেও সাহায্য করে।

হাড় মজবুত করে

সবুজ আপেল খেলে তা হাড় এবং দাঁত ভালো রাখতে কাজ করে। এতে থাকা ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস হাড়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। অস্টিওপোরোসিস নিরাময় করার জন্য এই দুই উপাদান প্রয়োজনীয়। অস্টিওপোরোসিস হলে তা হাড়কে দুর্বল করে, ফলে হাড় সহজেই ভেঙে যায়।

ত্বক সুন্দর রাখে

যারা সুন্দর ও নিখুঁত ত্বক পেতে চাইছেন তাদের জন্য উপকারী একটি ফল হতে পারে এই সবুজ আপেল। প্রতিদিনের খাবারে সবুজ আপেল যোগ করার পাশাপাশি ত্বকের যত্নেও ব্যবহার করতে পারেন সবুজ আপেল। এটি ত্বকের রং উজ্জ্বল করে এবং ত্বকের তারুণ্য বজায় রাখে।

লিভার সুস্থ্ রাখে

লিভার ভালো রাখতে নিয়মিত সবুজ আপেল খাবেন। কারণ এই আপেলের রস শরীরের ভেতর থেকে দূষিত পদার্থ ও ক্ষতিকর উপাদান ‍দূর করে। সেইসঙ্গে এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য শরীরে ডিটক্সিফাইং এনজাইমগুলোর কার্যকারিতা বাড়ায়। এটি ফ্রি-রেডিক্যালের ক্ষতি থেকে লিভারকে রক্ষা করে। এটি লিভার পরিষ্কার করার পাশাপাশি আপনাকে মুক্ত রাখবে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকেও।

ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখে

ফুসফুসের কার্যকারিতা বজায় রাখতে কাজ করে সবুজ আপেল। হাঁপানি রোগীরা প্রতিদিন সবুজ আপেল খেলে উপকার পাবেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন একটি করে সবুজ আপেলে খেলে বা এর রস পান করলে হাঁপানির ঝুঁকি কমে প্রায় ২৩ শতাংশ।