আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
/////হাইলাইটস///// রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার, ব্যাচলেটকে প্রধানমন্ত্রী

রোহিঙ্গাদের ফেরত নিচ্ছে না মিয়ানমার, ব্যাচলেটকে প্রধানমন্ত্রী


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: আগস্ট ১৭, ২০২২ , ৩:৫৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: /////হাইলাইটস/////


দিনের শেষে ডেস্ক :  জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয়গ্রহণকারী মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিকদেরকে তাদের মাতৃভূমিতে ফিরিয়ে নেয়া প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মিয়ানমার তাদের রোহিঙ্গা নাগরিকদের অস্বীকার করছে না। আবার ফেরতও নিচ্ছে না তাদের। বুধবার (১৭ আগস্ট) গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার ও চিলির সাবেক প্রেসিডেন্ট মিশেল ব্যাচলেট। এ সময় এ কথা বলেন তিনি। পরে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের শিক্ষা ও কাজের সুযোগ বাড়ানোর প্রস্তাব দেন। এর জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কক্সবাজারে এটা সম্ভব নয়। ভাসানচরে এ ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যায়। সেখানে অধিকতর ভালো মৌলিক সুবিধা দেয়া হচ্ছে। ইতোমধ্যে সেখানে ২০ হাজারের মতো স্থানান্তর করা হয়েছে।

সাক্ষাৎকালীন রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, রোহিঙ্গা সংকট, জলবায়ু পরিবর্তন, নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গ উত্থাপিত হয়। ১৯৭৫ সালের পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সামরিক শাসকদের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, ১৯৭৫ সালের পর মানুষের মৌলিক ও মানবাধিকার লঙ্ঘন করে বাংলাদেশে দীর্ঘ দিন সামরিক শাসন ছিল। ইনডেমনিটি অর্ডিন্যান্সের মাধ্যমে সামরিক শাসকরা ন্যায় বিচার চাওয়ার পথে বাধা সৃষ্টি করেছিল। তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডের পর খুনি এবং যুদ্ধাপরাধীদের রাজনীতিতে পুর্নবাসন করা হয়। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাবা-মাসহ পরিবারের সবাইকে হারানো এবং বিদেশে থাকায় তিনি ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা সৌভাগ্য ক্রমে সেই হত্যাযজ্ঞ থেকে প্রাণে বাঁচার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওরা ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করেছিল বলে আমরা যখন দেশে ফিরে আসি তখন বিচারও চাইতে পারিনি।

চিলিতে নিপীড়ক শাসকদের সময় শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের নির্যাতনের শিকার হওয়ার বিষয়টি স্মরণ করেন জাতিসংঘের এই মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু জাদুঘর পরিদর্শনের সময় এটি তার হৃদয় গভীর ভাবে স্পর্শ করেছে। কোভিড-১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং নিষেধাজ্ঞা-পাল্টা নিষেধাজ্ঞা বিশ্বে সংকট সৃষ্টি করছে বলে একমত পোষণ করেন প্রধানমন্ত্রী ও মিশেল ব্যাচলেট।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পৃথিবীর কোনো প্রান্তে কোন যুদ্ধ চায় না বাংলাদেশ। সাক্ষাতে জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার প্রধানমন্ত্রী জানান তারা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কাজ করছে এবং কিছু পর‌্যবেক্ষণ দেয়ার কথা জানান। জবাবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদ দমনের ওপর জোর দিয়ে বলেন, তার সরকার বাংলাদেশের মাটিতে কোনো ধরনের সন্ত্রাসকে প্রশ্রয় দেবে না। চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি ও ৬২ হাজার শরণার্থীকে ঘরে প্রত্যাবর্তন এবং ১৮০০ সশস্ত্র সন্ত্রাসী সারেন্ডার করানোর কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। দেশে আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের কথা উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তার সরকার এখন কৃষি সেক্টর এবং এগ্রো-প্রসেসিং শিল্পের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ. কে. আবদুল মোমেন, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, ঢাকায় নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গুয়ান লুইস।