আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন

যুক্তরাষ্ট্র নয়, ইউরোপের বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদার চীন


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১ , ২:১৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে ডেস্ক :  মহামারির বছরে একমাত্র দেশ চীন, যে দেশের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের আমদানি রফতানি রেকর্ড বেড়েছে। যুক্তরাষ্ট্রকে হটিয়ে মহামারির বছরই ইইউ’র বৃহত্তম বাণিজ্যিক অংশীদের দেশের স্থান দখলে নিয়েছে চীন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরিসংখ্যান কার্যালয় ইউরোস্ট্যাটের রিপোর্ট বলছে, ২৭টি দেশভুক্ত জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০২০ সালে চীন থেকে আমদানি করেছে ৪৬ হাজার ৫শ’ কোটি ডলারের পণ্য, রফতানি করেছে ২০ হাজার ২শ’ কোটি ডলারের পণ্য। দুই দেশের মধ্যে মহামারিতে আমদানি বেড়েছে সাড়ে ৫ শতাংশ, রফতানি বেড়েছে ২ শতাংশের কিছু বেশি।

একই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ইউরোপের আমদানি কমেছে ১৩ শতাংশের বেশি, আর যুক্তরাষ্ট্রে ইইউ’র পণ্য রফতানি কমেছে ৮ শতাংশের বেশি। বোঝাই যাচ্ছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন আর যুক্তরাষ্ট্র এখন শীর্ষ বাণিজ্যিক অংশীদার দেশ নেই। স্থান দখল করেছে এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীন। গেলো বছর ইউরোপ থেকে গাড়ি আমদানি করেছে চীন। রফতানি করেছে স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী।

ইউরোস্ট্যাটের জানুয়ারির তথ্য বলছে, ২০২০ সালে চীনের সাথে ইউরোপের মোট বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৯ হাজার ৬শ’ কোটি ডলারের। বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ১৯ হাজার থেকে ২১ হাজার কোটি ডলার। সেখানে গেল বছর যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ৬৭ হাজার ১শ’ কোটি ডলার। ২০১৯ সালে ছিল ৭৪ হাজার ৬শ’ কোটি ডলার।

করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে সারাবিশ্ব বাণিজ্য ব্যবস্থা। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে পুরো ইউরোপ। টানা কয়েকমাস স্থবির হয়ে ছিল আমদানি রফতানি। মহামারীতে এ অঞ্চলে আমদানি রফতানি ১০ শতাংশ পর্যন্ত কমেছে। তবে ইউরোপসহ সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের আমদানি রফতানি বাণিজ্য স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে বলে জানিয়েছে ইউরোস্ট্যাট।

পরিসংখ্যান বলছে, ইউরো অঞ্চলের রফতানি ২০১৯ সালের ডিসেম্বরের তুলনায় ২০২০ সালের ডিসেম্বরে বেশ ভালো অবস্থানে ছিল। আবার ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারির পর সবচেয়ে শুরুতে রফতানি বেড়েছে ইউরো অঞ্চলের। কিন্তু আমদানি ২০২০ সালের শেষ পর্যন্ত স্থবির ছিল।  মহামারির ক্ষতি কাটিয়ে বিশ্ব অর্থনীতি স্থিতিশীল হতে শুরু করেছে। চীনে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বাণিজ্য আরো বাড়বে বলে প্রত্যাশা বিশ্লেষকদের। ডিসেম্বরে ব্রাসেলস আর বেইজিং চুক্তিতে এসেছে, বিনিয়োগ চুক্তিতে। এ চুক্তি কম্প্রিহেনসিভ এগ্রিমেন্ট অন ইনভেস্টমেন্ট হিসেবে পরিচিত।

তবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য আবারো বাড়তে পারে, তবে তা নির্ভর করছে নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের মতাদর্শের ওপর। এমনটাই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। বিশ্লেষকরা বলছেন, ২০২১ সালে স্বাভাবিক হবে বিশ্ব বাণিজ্য পরিস্থিতি। বাণিজ্যের পরিমাণ বাড়তে পারে সাড়ে ৭ শতাংশের বেশি। যেখানে ২০২০ সালে বিশ্ববাণিজ্য কমেছিলো সাড়ে ১৩ শতাংশ। অর্থের পরিমাণ ১৬ ট্রিলিয়ন ডলার।