আজকের দিন তারিখ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
প্রবাসে বাংলা মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাবে বাংলাদেশের ২৫ এজেন্সি

মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠাবে বাংলাদেশের ২৫ এজেন্সি


পোস্ট করেছেন: delwer master | প্রকাশিত হয়েছে: জুন ১১, ২০২২ , ১১:৩৭ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: প্রবাসে বাংলা


দিনের শেষে ডেস্ক : মালয়েশিয়া সরকার নির্ধারিত বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সি সেদেশে কর্মী পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছেন মালয়েশিয়ার মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান। তার দেশে কর্মী নিয়োগ জটিলতা নিরসনে সম্প্রতি ঢাকা সফর করা সারাভানান বলেন, অন্যান্য দেশ বাংলাদেশের চেয়ে কম এজেন্সি নিয়োগ করেছে। সিঙ্গাপুর ১৪ থেকে কমিয়ে ৬টি এজেন্সি করেছে, হংকংয়ে ১০টিরও কম এজেন্সি। অথচ বাংলাদেশের ২৫টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশের এজেন্সিগুলো মালয়েশিয়ায় কর্মী পাঠানোর জন্য আরও আগে থেকেই বিভিন্ন তৎপরতা দেখাচ্ছে। সম্প্রতি এ নিয়ে রাজধানীতে মানববন্ধনও করেছে বিভিন্ন এজেন্সি। এ বিষয়ে দেশটির মানবসম্পদমন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান বলেন, মালয়েশিয়া আগের সমঝোতা স্মারকের (এমওইউ) অধীনে অনুমোদিত ১০টির চেয়ে বেশি বর্তমানে এজেন্সি সংখ্যা ২৫টিতে উন্নীত করেছে। এরপরও বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোর এ নিয়ে ‘চোখ রাঙানো’ অনাকাঙ্ক্ষিত। সারাভানান বলেন, ২০০৮ সালে বাংলাদেশের সব এজেন্সিকে আমরা ব্যবসা করার অনুমতি দিয়েছিলাম। তখন প্রায় এক লাখ বাংলাদেশি প্রতারিত হয়েছিল এবং চাকরি ও খাবার সংকটে পড়ে কুয়ালালামপুরের রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়াচ্ছিল। তাদের জীবন খুব মানবেতর অবস্থায় নিপতিত হয়েছিল। এমনকি তারা তখন বাংলাদেশ হাইকমিশন ঘেরাও করেছিল। তিনি বলেন, আমরা এটি নিশ্চিত করতে চাই যে, নতুন করে আর কোনো কর্মী যেন প্রতারিত না হন। সেজন্যই এজেন্সি সংখ্যা সীমিত করা হয়েছে। এটি কোনো ব্যক্তি সুবিধার জন্য নয়। তিনি আরও বলেন, ২০০৯ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত মাত্র ১০ হাজার কর্মীকে জি-টু-জি (সরকার থেকে সরকার) ব্যবস্থার আওতায় আনা হয়েছিল। ২০১৬ সালে আমরা ১০টি এজেন্সিকে কর্মী পাঠানোর অনুমতি দিয়েছিলাম। তখন চাকরির নিশ্চয়তাসহ প্রচুর সংখ্যক কর্মী এসেছিলেন, সে সময়টা সবচেয়ে সফল ছিল। সারাভানান বলছেন, তার সরকার পর্যায়ক্রমে এজেন্সি সংখ্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে। এ বিষয়ে বাইরের কোনো দেশ মালয়েশিয়াকে নির্দেশ দেওয়ার এখতিয়ার রাখে না। সাম্প্রতিক ঢাকা সফরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর কাছে আমাদের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছি। তারা আমাদের অবস্থান বুঝেছেন এবং তা গ্রহণ করেন।