আজকের দিন তারিখ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় দেশে করোনার যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন পাওয়া গেছে: সিভাসু

দেশে করোনার যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন পাওয়া গেছে: সিভাসু


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: মে ৩, ২০২১ , ২:৪৩ অপরাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক : দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ ছড়িয়ে পড়ার ক্ষেত্রে ভাইরাসটির অন্য কোনো ধরন ছিল কি-না, সেই গবেষণা চালিয়েছে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু)। এতে তাদের আশঙ্কাই মিলেছে। গবেষণা দলটি বলছে, দেশে যুক্তরাজ্য এবং দক্ষিণ আফ্রিকার ধরন পাওয়া গেছে।
সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের সার্বিক নির্দেশনায় এ গবেষাণা চালিয়েছেন বিশ্ব্যবিদ্যালয়টির অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী। রোববার সিভাসু থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানা গেছে। এতে আরও বলা হয়, কভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের স্বাস্থ্যঝুঁকি মূল্যায়ন করে এ গবেষণা কার্যক্রম চালানো হয়। গবেষণার অংশ হিসেবে SARS-CoV-2 বা নোভেল করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকুয়েন্স (Whole Genome Sequence) বা জীবন রহস্য উন্মোচন করার জন্য ১০টি নমুনা পাঠানো হয় বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ (বিসিএসাআইআর), ঢাকায়। এরপর বিসিএসআইআর-এর দুইজন গবেষক; ড. মো. সেলিম খান ও ড. মো. মোরশেদ হাসান সরকার এ গবেষণায় যোগ দেন। তবে গবেষণাটি মূলত চট্টগ্রাম কেন্দ্রিক করা হয়েছে।
সেই ফলাফলে দেখা যায়, ১০টি নমুনার মধ্যে ছয়টিতে করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্যের ধরনের (B.1.1.7) উপস্থিতি রয়েছে এবং তিনটিতে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরন (B.1.351) রয়েছে। তবে যে ধরন (B.1.617) বর্তমানে ভারতে শনাক্ত হয়েছে, কোনো নমুনাতেই তার উপস্থিতি পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বয়সের আক্রান্ত রোগীর কাছ থেকে নমুনাগুলো সংগ্রহ করা হয়। এছাড়া ওই আক্রান্ত রোগীদের পাঁচজনকে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিতে হয়েছিল বলেও জানিয়েছে গবেষণা দলটি।
১০টি নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, কভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫ এপ্রিলের আগেই যুক্তরাজ্যের ধরনের উপস্থিতি থেকে থাকতে পারে। একই সময়ে দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনও ছিল বলে ধারণা। এক্ষেত্রে আরও বেশি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করলে প্রকৃত চিত্রটি স্পষ্ট হত। এছাড়া এই ১০টি নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সের তথ্য পাবলিক ডাটাবেজ GISAID-এ জমা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে কভিডের প্রথম ঢেউয়েও সিভাসুর উদ্যোগে আটটি নমুনা থেকে ভাইরাসের জিনোম সিকুয়েন্স করা হয়েছিল।