আজকের দিন তারিখ ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত, নয়তো পুনরাবৃত্তি

ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত, নয়তো পুনরাবৃত্তি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১ , ১১:১৯ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক :  সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দোষী সাব্যস্ত করা না গেলে গত ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলের মতো নৃশংস ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে পারে বলে ধারণা ডেমোক্র্যাটদের। অভিশংসন আদালতে তৃতীয় দিন বৃহস্পতিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ট্রাম্পের অপরাধ প্রমাণের জন্য সিনেটে যুক্তিতর্ক তুলে ধরেন ডেমোক্র্যাটরা। তাদের মতে, ট্রাম্পের সমর্থনে তার সমর্থকরা ক্যাপিটল হিলে যে নজিরবিহীন তাণ্ডব চালিয়েছিল তা যে আবারও ঘটবে না, তার নিশ্চয়তা নেই। অভিশংসন আদালতে আগের ধারাবাহিকতায় ট্রাম্পের নির্দেশনায় কীভাবে ৬ জানুয়ারি ক্যাপিটল হিলে হামলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার তার প্রমাণ উপস্থাপন করা হয়। আদালতে বলা হয়, ট্রাম্প মার্কিন সংবিধানের প্রথম সংশোধনীতে দেওয়া মতপ্রকাশের স্বাধীনতার চরম অপব্যবহার করেছেন। তার কর্মকাণ্ডে আমেরিকার ভাবমূর্তি ধুলোয় মিশে গেছে।
অন্যতম কৌঁসুলি হিসেবে দায়িত্ব থাকা কংগ্রেসম্যান জো নেগাস বলেছেন, ‘ট্রাম্পের কৃতকর্মের ব্যাপারে যদি আমরা নীরব থাকি, তাহলে এমন ঘটনা যে আবার ঘটবে না, তা কেউ বলতে পারে না। কংগ্রেসম্যান জ্যামি রাস্কিন বলেন, নির্বাচনের ফলাফল অস্বীকার করে আমেরিকার মানুষের অধিকারকে খর্ব করেছেন ট্রাম্প। জনগণ সংবিধানের প্রথম সংশোধনী রক্ষার জন্যই প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ভোট দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্প তা মেনে নিতে পারছেন না।

ট্রাম্প এমন সহিংসতার জন্য আগে থেকেই পরিকল্পনা করেছিলেন বলে প্রসিকিউশনের পক্ষ থেকে যুক্তি তুলে ধরা হয়। তার জন্য মিশিগান অঙ্গরাজ্যকে পরীক্ষামূলক ক্ষেত্র করা হয়েছিল বলে তারা উল্লেখ করেন। ১১ ফেব্রুয়ারি দুপুরে শুরু হওয়া অভিশংসন আদালত তৃতীয় দিনের মতো মুলতবি ঘোষণা করা হয়। স্থানীয় সময় (১২ ফেব্রুয়ারি) শুক্রবার দুপুরে শুরু হবে অভিযোগ খণ্ডনের জন্য ট্রাম্পের আইনজীবীদের বক্তব্য। তারা দুই দিনে ১৬ ঘণ্টায় ট্রাম্পের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ খণ্ডন করবেন। এদিকে ট্রাম্পের অভিংশসন নিয়ে সিনেটে অতিরিক্ত সময় নষ্ট না করার পক্ষে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

গত ৬ জানুয়ারি মার্কিন ক্যাপিটল হিলে অরাজকতা চালায় সাবেক প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সমর্থকেরা। ওই সহিংসতায় এক পুলিশ কর্মকর্তাসহ ৫ জন নিহত হন। বিদ্রোহের পেছনে ট্রাম্পের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ ডেমোক্র্যাটদের। এরপরই তার বিরুদ্ধে বিচার শুরু হয়েছে