আজকের দিন তারিখ ২০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শনিবার, ৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য গোপালগঞ্জে অনাবৃষ্টিতে পুড়ছে পাটক্ষেত

গোপালগঞ্জে অনাবৃষ্টিতে পুড়ছে পাটক্ষেত


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ২৭, ২০২১ , ২:৩২ অপরাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : তীব্র তাপদাহ আর অনাবৃষ্টিতে গোপালগঞ্জে পাটক্ষেত পুড়ে যাচ্ছে। এতে পাটের আবাদ নিয়ে শঙ্কায় পড়েছেন কৃষকরা। চলতি মাসে গোপালগঞ্জে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে বলে জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারাপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কর্মকর্তা মো. আবু সুফিয়ান জানান। তিনি বলেন, “বৈশাখ মাস জুড়েই তাপদাহ অব্যাহত থাকবে। তবে কয়েকদিনের মধ্যে তাপমাত্রা কিছুটা কমে আসবে। শুস্ক মৌসুমে এ জেলায় কোন বৃষ্টিপাত হয়নি।” বৃষ্টি না হওয়ায় পাটক্ষেতে ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে কৃষকদের; ফলে বাড়ছে উৎপাদন খরচ। প্রচণ্ড রোদে জমির আগাছাও পরিষ্কার করা যাচ্ছে না। এ অবস্থায় পাট উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হবে না বলে আশঙ্কা কৃষকদের। গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের খালিয়া গ্রামের পাট চাষি হযরত আলী বলেন, “প্রচণ্ড রোদ ও অনাবৃষ্টির কারণে পাটক্ষেত শুকিয়ে চৌচির হয়ে গেছে। পাটগাছ শুকিয়ে বিবর্ণ ও পাতা কুঁচকে যাচ্ছে।” কাশিয়ানী উপজেলার রাতইল ইউনিয়নের চাপ্তা গ্রামের গ্রামের কৃষক ওয়াহিদ মিনা বলেন, “এ বছর পাটের চাষাবাদ করার সময় বৃষ্টি হয়নি। তাই সেচ দিয়ে ৫ বিঘা জমিতে চাষ করেছি। বৃষ্টির দেখা নেই; তাই ঘন ঘন সেচ দিতে হচ্ছে। তারপরও পাট গাছ বাড়ছে না। এসব মিলিয়ে উৎপাদন খরচও দ্বিগুন বেড়েছে।”’ মুকসুদপুর উপজেলার বরইহাটি গ্রামের পাট চাষি মিরাজ শেখ বলেন, “অনাবৃষ্টির কারণে পাটগাছ মরে যাচ্ছে। এক বিঘা জমিতে একবার সেচ দিতে ৫০০ টাকা খরচ হচ্ছে। সপ্তাহে দুইবার সেচ দিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এভাবে খরা আরও কিছুদিন হলে পাটে এবার লোকসান গুনতে হবে।” এ বিষয়ে কাশিয়ানী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার কুণ্ড বলেন, “তাপদাহে পাট গাছে পোকার উপদ্রব বেড়ে যাবে। ফলে পাটের কচি পাতা কুঁকড়ে যাবে। এ অবস্থায় কীটনাশক স্প্রে করে পাট রক্ষা করতে হবে।”
এদিকে এ বছর জেলায় ২৫ হাজার ৪৪০ হেক্টর জমিতে পাটচাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে বলে গোপালগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণের উপ-পরিচালক ড. অরবিন্দু কুমার রায় জানান।
তিনি বলেন, এরই মধ্যে ১৯ হাজার ২১৪ হেক্টর জমিতে বপন কাজ শেষ হয়েছে এবং অনেক স্থানে পাটের চারা বড় হয়ে গেছে। গত বছর পাটের মূল্য ভাল পাওয়ায় কৃষকরা এবার বেশি জমিতে পাট চাষ করছেন।