আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি

আফগানিস্তানকে ১০০ কোটি ডলার সহায়তার প্রতিশ্রুতি


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১ , ১১:২৪ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : তালেবানের ক্ষমতা গ্রহণের দারিদ্র্য ও ক্ষুধায় জর্জরিত আফগানদের জন্য ১০০ কোটি ডলারের বেশি সহায়তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে দাতারা। তালেবানের শাসনে আফগান ভূখণ্ডে বড় ধরনের মানবিক বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছে জাতিসংঘ। এই বিপর্যয় এড়াতে বৈশ্বিক সহায়তার আহ্বান জানিয়ে জেনেভায় সোমবার এক বৈঠকের আয়োজন করা হয়।

বিবিসি জানিয়েছে, জাতিসংঘের আয়োজিত এ বৈঠকে আফগানিস্তানে সহায়তার বিষয়ে এই অঙ্গীকার করেন দাতারা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার জেনেভায় দাতা দেশগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানে আফগানদের স হযোগিতার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ৬০ কোটি ৬০ লাখ ডলার প্রয়োজন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। এ অর্থের এক-তৃতীয়াংশই খাদ্য সংকট মেটাতে ব্যয় হবে।

আল জাজিরা জানিয়েছে, প্রত্যাশার চেয়ে প্রায় দ্বিগুণ সহযোগিতার আশ্বাস পেয়েছেন গুতেরেস। এতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি। আফগানিস্তানে প্রায় সাড়ে ছয় কোটি ডলার সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ফ্রান্স প্রায় ১২ কোটি ডলার এবং নরওয়ে এক কোটি ১৫ লাখ ডলার দেয়ার আশ্বাস দিয়েছে। রয়টার্স বলছে, গত মাসে তালেবান আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আসার আগে থেকেই দেশটির অর্ধেক জনসংখ্যা বা ১ কোটি ৮০ লাখ মানুষ বিদেশি সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিলেন।

জাতিসংঘ জানিয়েছে, তালেবান ক্ষমতায় আসার পর খাবার ও টাকার অভাবে এই সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। তালেবান ক্ষমতা দখলের পর যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশ কাবুলের জন্য নিয়মিত অর্থ সহায়তা বাতিলের ঘোষণা দিলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়। এতে দেশটিতে মানবিক সংকট আরও প্রকট হয়ে ওঠে।

এ অবস্থায় আফগানরা সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে’ বলে উল্লেখ করেন জাতিসংঘের মহাসচিব গুতেরেস বলেন, টানা কয়েক দশক যুদ্ধ, সংগ্রাম আর নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে থাকার পর আফগানরা এখন কার্যত তাদের সবচেয়ে কঠিন সময় পার করছে। তিনি আরও বলেন, আফগানিস্তানের অর্থনীতি চরম সংকুচিত হয়ে পড়েছে। এর ফলে মৌলিক অর্থনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনাও সম্ভব হচ্ছে না। আফগানিস্তানে থাকা খাদ্যের মজুত চলতি মাসেই শেষ হয়ে আসতে পারে বলেও জানান মহাসচিব।