আজকের দিন তারিখ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
সারাবিশ্ব অবশেষে সহায়তা পেলেন বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিরা

অবশেষে সহায়তা পেলেন বসনিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশিরা


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: অক্টোবর ২০, ২০২০ , ১:০০ অপরাহ্ণ | বিভাগ: সারাবিশ্ব


দিনের শেষে ডেস্ক : বসনিয়ার ভেলিকা ক্লাদুসার একটি জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন কয়েকশো বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের শরণার্থী। কয়েক মাস ধরে মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করা ওই শরণার্থীদের গতকাল সোমবার খাবার ও স্লিপিং ব্যাগ সরবরাহ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএম। ইউরোপে অভিবাসী হওয়ার প্রত্যাশায় বসনিয়া-ক্রোয়েশিয়া সীমান্তবর্তী ভেলিকা ক্লাদুসার বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন কয়কশো বাংলাদেশি। তাঁদের অনেকেই সেখানকার একটি জঙ্গলে মানবেতর পরিস্থিতিতে বসবাস করছেন কয়েক মাস ধরে। সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে এ খবর জানিয়েছে। জঙ্গলে আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিদের সঙ্গে কথা বলেছেন ডয়চে ভেলের সাংবাদিকরা। সরাসরি শরণার্থীধের পরিস্থিতি তুলে ধরেছেন ফেসবুক লাইভে। জঙ্গলে অবস্থানরতরা জানিয়েছেন তাঁদের অবর্ণনীয় কষ্টের কথা। কোনো আন্তর্জাতিক সংস্থা থেকে গত রোববার পর্যন্ত শরণার্থীরা কোনো সহযোগিতা পাননি বলে অভিযোগ করেছিলেন। এরপর গতকাল সোমবার জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা আইওএমের একটি দল আশ্রয় নেওয়াদের মানবিক সহায়তা দিয়েছে। শরণার্থীদের খাবার ও স্লিপিং ব্যাগ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশিসহ প্রায় ৬০০ জনকে এই সহযোগিতা করা হয়েছে বলে জানা গেছে। আব্দুল হান্নান নামের একজন শরণার্থী বলেন, ‘এর আগে আমরা কখনো এরকম সহযোগিতা পাইনি। এই প্রথম দেওয়া হয়েছে।’ তবে এই সহযোগিতার বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে সেখানকার আইওএম কর্মীরা ডয়চে ভেলেকে কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি। ভেলিকা ক্লাদুসায় আইওএমের একটি আশ্রয় ক্যাম্প রয়েছে। তবে সেখানে ঢোকার অনুমতি পাচ্ছেন না বলে দাবি করেছেন জঙ্গলে এবং পাশের একটি পরিত্যক্ত কারখানায় আশ্রয় নেওয়া বাংলাদেশিরা। এই বাংলাদেশিরা মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশ হয়ে বসনিয়াতে এসেছেন। তাঁদের উদ্দেশ্য ক্রোয়েশিয়া হয়ে ইতালি, ফ্রান্সসহ ইউরোপের কোনো দেশে অভিবাসী হওয়া। কিন্তু, সীমান্ত পাড়ি দিতে গিয়ে ক্রোয়েশিয়া পুলিশের নির্যাতনের শিকার হয়েছেন বলে তাঁরা দাবি করেছেন। ইউরোপে আসার জন্য দালালদের কয়েক লাখ টাকা দিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন এই শরণার্থীরা।