আজকের দিন তারিখ ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ১৫ই চৈত্র, ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
অর্থ ও বাণিজ্য পর্যটন শিল্প রক্ষায় পাঁচ উপায়ে প্রণোদনা ঘোষণার দাবি

পর্যটন শিল্প রক্ষায় পাঁচ উপায়ে প্রণোদনা ঘোষণার দাবি


পোস্ট করেছেন: Dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৮, ২০২০ , ৬:১১ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: অর্থ ও বাণিজ্য


দিনের শেষে প্রতিবেদক : প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে ৭২ হাজার ৭৫০ কোটি টাকা ঘোষণা করা হলেও সেখানে পর্যটন শিল্প রক্ষায় সুস্পষ্ট নির্দেশনা প্রদানের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশন এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশন। এই দুই সংগঠন সম্মিলিতভাবে প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে পর্যটন শিল্প রক্ষায় পাঁচ উপায়ে প্রণোদনা ঘোষণার দাবি করা হয়। বাংলাদেশ ট্যুরিজম ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোখলেছুর রহমান এবং বাংলাদেশ ট্যুরিজম এক্সপ্লোরার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি শহীদুল ইসলাম সাগর স্বাক্ষরিত যৌথ এই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা জানায়, সারা পৃথিবীর মতো বাংলাদেশের পর্যটনশিল্পও অত্যন্ত নাজুক অবস্থার শিকার হয়েছে। একে ঘুরে দাঁড় করাতে হলে জুন ২০২১ পর্যন্ত যে কোন উপায়ে বাঁচিয়ে রাখতে হবে। কেননা, এই শিল্প প্রায় সাড়ে ১৮ লক্ষ কর্মীর কর্মপ্রচেষ্টায় আমাদের জিডিপিতে ২০১৯ সালে ৭৭ হাজার ৩০০ কোটি টাকার অবদান রেখেছে এবং পর্যটন রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করেছে ২ হাজার ৮০০ কোটি টাকারও বেশি। বাংলাদেশের পর্যটন শিল্পে হোটেল ও বিমান মিলে ১০% ব্যবসায়ী কর্পোরেট শ্রেণির, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ৮০% এবং ১০% প্রান্তিক শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। ফলে পর্যটনের সাথে মূলত ৯০% পেশাজীবী ও কর্মী অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পতিত হয়েছে, যা অন্য যে কোন উৎপাদন ধর্মী এবং সেবাধর্মী শিল্পের চাইতেও নাজুক অবস্থা। এই শিল্প দেশে প্রত্যক্ষ, পরোক্ষ এবং আবেশিত এই ৩ (তিন) উপায়ে অবদান রাখে। তাই পর্যটন শিল্প ভেঙ্গে পড়লে ভেঙ্গে পড়বে অর্থনীতি ও সমাজ। এই অবস্থায় এই শিল্পকে রক্ষার মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে বাঁচিয়ে তোলার উদ্দেশ্যে আগামী জুন ২০২১ পর্যন্ত পাঁচ উপায়ে প্রণোদনা ঘোষণার জোর দাবী জানানো হয়। সেখানে ছিলো- ১) বাংলাদেশের জিডিপিতে পর্যটনের অবদানের অন্যূন ২৫% অর্থাৎ ১৯ হাজার ৩০০ কোটি টাকার বিশেষ প্রণোদনা ঘোষণা করতে হবে। এই প্রণোদনার টাকা সম্মত নীতিমালার আওতায় এককালীন অনুদান, রিফান্যান্সিং ঋণ ও রেয়াতি সুদহারে ঋণ প্রদান করতে হবে। ২) অনুদান ও ঋণ প্রদানের ক্ষেত্রে প্রান্তিক শ্রেণির ব্যবসায়ী, মাঝারি ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও কর্পোরেট ব্যবসায়ী এই ধারাক্রম মেনে চলতে হবে। ৩) ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানের কর্মচারীদেরকে রক্ষার জন্য এপ্রিল ২০২০ মাসের মধ্যে অনুদানের অর্থ পর্যটন ব্যবসায়ীদের হাতে জরুরি ভিত্তিতে পৌঁছাতে হবে। ৪) বিতরণকৃত সকল ঋণ সরল সুদে প্রদান ও দীর্ঘমেয়াদি পরিশোধ কিস্তি নির্ধারণ করতে হবে। ৫) ২০১৯-২০২০ এবং ২০২০-২০২১ কর বর্ষে পর্যটনের সকল উপ-খাতে ১০% হারে ট্যাক্স হ্রাস করতে হবে।