আজকের দিন তারিখ ১৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ, শুক্রবার, ৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সর্বশেষ সংবাদ
জাতীয় ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি, অবস্থান ১৩

ঢাকার বায়ুমানে উন্নতি, অবস্থান ১৩


পোস্ট করেছেন: dinersheshey | প্রকাশিত হয়েছে: এপ্রিল ৮, ২০২০ , ৫:৫৩ পূর্বাহ্ণ | বিভাগ: জাতীয়


দিনের শেষে প্রতিবেদক :  রাজধানী ঢাকার বাতাসের মান বুধবার (৮ এপ্রিল) সকালে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হলেও এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) এখনও ‘অস্বাস্থ্যকর’ পর্যায়ে রয়েছে। বুধবার সকালে ঢাকা শহরের একিউআই স্কোর ছিল ১০৯। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ১৩তম খারাপ অবস্থানে রয়েছে ঢাকা। একিউআই স্কোর ১০১ থেকে ১৫০ হলে সাধারণ নগরবাসী বিশেষ করে শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন। বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় থাইল্যান্ডের চিয়াং মাই, নেপালের কাঠমান্ডু ও ভিয়েতনামের হ্যানয় যথাক্রমে ১৯০, ১৬৮ ও ১৬২ একিউআই স্কোর নিয়ে প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় খারাপ অবস্থানে রয়েছে। একিউআই স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে নগরবাসীর প্রত্যেকের স্বাস্থ্যের ওপর প্রভাব পড়তে পারে, বিশেষ করে শিশু, বৃদ্ধ ও রোগীরা স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে পড়তে পারেন। প্রতিদিনের বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা একিউআই সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটুকু নির্মল বা দূষিত সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় এবং তাদের জন্য কোন ধরনের স্বাস্থ্য ঝুঁকি তৈরি হতে পারে তা জানায়। একিউআই সূচকে ৫০ এর নিচে স্কোর থাকার অর্থ হলো বাতাসের মান ভালো। সূচকে ৫১ থেকে ১০০ স্কোরের মধ্যে থাকলে বাতাসের মান গ্রহণযোগ্য বলে ধরে নেয়া হয়। একিউআই স্কোর ২০১ থেকে ৩০০ হলে স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ তা জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। একিউআই স্কোর ৩০১ থেকে ৫০০ বা তারও বেশি হলে বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ মনে করা হয়। এসময় স্বাস্থ্য সতর্কতাসহ প্রত্যেক নগরবাসীর জন্য জরুরি অবস্থা হিসেবে বিবেচিত হয়। জনবহুল ঢাকা দীর্ঘদিন ধরেই দূষিত বাতাস নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। মূলত নির্মাণ কাজের নিয়ন্ত্রণহীন ধুলা, যানবাহনের ধোঁয়া, ইটভাটা প্রভৃতি কারণে রাজধানীতে দূষণের মাত্রা চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। বিশ্বব্যাংক ও পরিবেশ অধিদপ্তরের এক প্রতিবেদনে ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান কারণ হিসেবে এ শহরের চারপাশে অবস্থিত ইটভাটাকে চিহ্নিত করা হয়েছে।